দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে যেসব খাবার

আধুনিক সময় প্রায় সবাই ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিনের সংস্পর্শে সময় কাটিয়ে থাকি। স্ক্রিনে সময় ব্যয় করা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের চোখে প্রভাব ফেলে। যা থেকে দৃষ্টিশক্তি কমার সম্ভাবনা থাকে। কর্মব্যস্ত জীবনে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য খাদ্যতালিকায় দৃষ্টি রাখা জরুরি।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রাকৃতিক কিছু খাবারের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। বিশেষ করে ভিটামিন এ, সি, ই এবং জিঙ্ক ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। এসবে লুটেইন ও জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। যা ইউভি রশ্মি ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে চোখকে রক্ষা করে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কয়েকটি খাবার সম্পর্কে তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
কাজুবাদাম: কাজু বাদাম চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে উচ্চ জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন এবং জেক্সানথিন উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান বয়স সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও চোখের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আখরোট: এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবদান রাখে। চোখের কোষের ঝিল্লি গঠন ও বজায় রাখতে সহায়তা করে। একইসঙ্গে চোখের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়।
বাদাম: ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বাদাম চোখকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং শুষ্ক চোখের সিনড্রোম প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পেস্তা বাদাম: কাজু বাদামের মতোই উপকারিতা পাওয়া যায় পেস্তা বাদাম থেকে। এতেও লুটেইন ও জেক্সানথিন উপাদান রয়েছে। যা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন সুরক্ষা প্রদান করে এবং বয়সজনিত চোখের ঝুঁকি কমায়।
কিশমিশ: সবুজ, সোনালী বা হলুদ, যে রঙেরই হোক না কেন, কিশমিশে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি বিদ্যমান। যা চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রাতকানা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
খেজুর: লুটেইন এবং ভিটামিন এ উপাদান থাকার কারণে খেজুর প্রাকৃতিক মিষ্টি। যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এর ফাইবার উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। আবার ডায়াবেটিসজনিত চোখের জটিলতা প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ।
Comments