আজ গরম চা দিবস
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ গরম ধূমায়িত চা দিয়ে দিন শুরু হয় অনেকের। কেউ চা পান করেন ঘুম তাড়াতে, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়, আবার কেউ ওজন কমাতে, কেউবা নিছকই অভ্যাসবশত চা পান করে থাকেন। এমনও শোনা যায়, রাতে ঘুম আনতে অনেকের ঘন চা লাগে! আবার অফিসের কাজের চাপে বা ক্লাসের একঘেঁয়েমিতে মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখনও ভরসা সেই গরম চা তে।
আজ ১২ জানুয়ারি 'গরম চা দিবস' বা 'হট টি ডে'। আজ এই শীতের সন্ধ্যায় গরম চায়ে চুমুক দিন আরও বেশি আনন্দের সঙ্গে। দিবসটির প্রচলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল আজকের দিবসের প্রচলন করে বলে জানা যায়।
চা পানের ইতিহাস আমরা সবাই কমবেশি জানি। চায়ের পাতা নাকি বাতাসে ভেসে এসেছিল! কথিত আছে, প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চীনা এক সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নিচে বসেছিলেন। তখন বাগান থেকে উড়ে আসা একটা পাতা পড়ে সেই গরম পানিতে। সম্রাট খেয়াল করে দেখেন, পাতাটা পড়ার পর পানির রং বদলে সুন্দর লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সেখান থেকে মিষ্টি একটা সুগন্ধও বেরোচ্ছে। এরপর থেকে চায়ের প্রচলন শুরু হয়।
ধীরে ধীরে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের নিবিড় বন্ধন গড়ে ওঠে। কফি, এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোনো লোভনীয় পানীয় এই নিবিড় সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারেনি! তবে বাজারে এখন হরেক রকমের চা পাওয়া যায়। দুধ চা, লেবু চা, কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনদের গ্রিন টি, ব্ল্যাক টির পাশাপাশি বর্তমানে মানুষের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাদাম চা, মালাই চা, পনির চা, মসলা চা, অপরাজিতা ফুলের চা, মাল্টা চায়ের মতো বৈচিত্র্যময় সব চা।
'হট টি ডে' উদ্যাপনের জন্য আজ চায়ের দোকানে গিয়ে নতুন স্বাদের কোনো চা পরখ করে দেখতে পারেন। কিংবা 'চা-খোর' প্রিয় মানুষকে উপহার দিতে পারেন বাজারে আসা নতুন কোনো ব্র্যান্ডের এক প্যাকেট চা।
তবে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিজের বাড়িতেই পছন্দমতো চা বানিয়ে পরিবার পরিজন দিয়ে আয়েশ করে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে গুনগুন করে গেয়ে ওঠা, 'এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই…।'
Comments