আপনার অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য এই অভ্যাসগুলো দায়ী নয়তো?
আধুনিক সময় প্রায় সবাই আমরা উন্নত জীবনযাত্রা অনুসরণের চেষ্টা করি। এই জীবনযাত্রায় পরিচালিত হওয়ার জন্য অধিকাংশ মানুষই আমরা এক ধরনের ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এ কারণে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যতা পেলেও বিপরীতে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও অবসাদের মতো সমস্যা ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করছে। আর যা থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় কিছু খারাপ অভ্যাসেও অভ্যস্ত হচ্ছি আমরা।
এসব কারণে অল্প বয়সেই অনেকের চোখের নিচে বলিরেখা, গালে মেচতার দাগ, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, অকালে চুল পেকে যাওয়া, অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, হাড়ের জোর কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। কিন্তু অল্প বয়সেই এই ধরনের সমস্যা কেন হয়, যা থেকে অল্পতেই নিজেকে বয়স্ক দেখায়, তা কী ভেবে দেখেছেন কখনো? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডি টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী এবার এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ: এমন অনেকেই আছেন যারা নিয়ম করে প্রতিদিনই অ্যালকোহল পান করেন। নিয়মিত বা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান কখনো স্বাস্থ্যকর নয়। এতে অল্প সময়ে বার্ধক্যের ছাঁপ পড়ে শরীরে। একইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর করে দেয়।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: একজন মানুষ দৈনিক গড়ে প্রায় ৭ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকেন। তবে এই ঘুম সঠিকভাবে হওয়া জরুরি। কেননা, সঠিক ও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব আমাদের শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রতঙ্গকে সঠিক কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার: সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। অস্বাস্থ্যকর খাবার বিপাক কমিয়ে ওজন বৃদ্ধি করে, খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। এ জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও জরুরি।
সূর্যের অতিতাপ: সূর্যের অতিরিক্ত তাপ ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ সূর্যের তাপের ফলে ত্বকে বলিরেখা তৈরি হয়। যা ত্বককে বয়স্ক মানুষের মতো করে তোলে।
শারীরিক চর্চার অভাব: প্রতিটি মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণ শারীরিক চর্চার প্রয়োজন। যা না হলে শরীরের ক্ষতি হয়। শারীরিক চর্চার অভ্যাবে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, স্থূলতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ হতে পারে।
মানসিক চাপ: কাজ বা অন্য কোনো চাপ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। মানসিক চাপ থেকে আমাদের মেটাবলিজম, ওজনসহ অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি হয়। যা অল্পতেই বার্ধক্য করে তোলে আমাদের।
সামাজিকীকরণের অভাব: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিকতার অভাব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিপূর প্রভাব ফেলে। সামাজিকীকরণ আমাদের চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এ জন্য সমাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকা জরুরি।
ধূমপান: ধূমপান শরীরে নানা ধরনের প্রভাব ফেলে। নিয়মিত ও অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষয় হয়। এমনকি এ থেকে ক্যানসারও হতে পারে।