মেরিন ড্রাইভের যেসকল দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনি জানেন না
বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছেদ্য সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কক্সবাজারকে বলা হয় পর্যটন রাজধানী। এ জেলায় ঘুরতে আসলেই কলাতলী, সুগন্ধ্যা, লাবণী, হিমছড়ি, ইনানী ও পাটুয়ারটেকে ঘুরতে যান সবাই। কিন্তু এর বাইরেও দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভের কোনায় কোনায় লুকিয়ে রয়েছে সৌন্দর্য। মেরিন ড্রাইভের এমন ৫টি অপরিচিত জায়গা নিয়ে এই রিপোর্টে আলোচনা করা হল-
১. ভাঙ্গার মোড়
কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়কে উঠতেই যে মোড় সেটার নাম ভাঙ্গার মোড়। অনেকেই আবার চিনেন মেম্বার ঘাটা নামে। এই সমুদ্র সৈকতে থাকে না তেমন বেশি পর্যটকের ভিড়। তাই মেরিন ড্রাইভ যেতে এই জায়গাতে ঘুরে যেতে ভুলবেন না।
২. দরিয়ানগর
দরিয়ানগর। ভাঙ্গার মোড় থেকে কিছুদূর গেলেই এই পয়েন্টের অবস্থান। দরিয়ানগর ব্রিজ থেকেই দেখা যায় সমুদ্রের অপররূপ সৌন্দর্য। অপর পাশে দেখা যায় সুউচ্চ পাহাড়। এই সৈকতে রয়েছে প্যারাসেলিং করার সুযোগ। এছাড়া দরিয়ানগরে রয়েছে একটি পার্ক। পার্কটিতে প্রবেশ করতে হয় হাঙ্গের ভাস্কর্যের ভেতর দিয়ে। এই পার্কে রয়েছে একটি গুহাও। এছাড়া পাহাড়ের উপর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
৩. প্যাচারদ্বীপের কাঁকড়া বিচ
হিমছড়ির পরে রামু উপজেলায় প্যাচারদ্বীপের অবস্থান। হিমছড়ি থেকে কিছুদূর গেলেই মাঝখানে প্যাচারদ্বীপ কাঁকড়া বিচের অবস্থান। এই বিচে যাওয়ার জন্য রয়েছে একটি বাঁশ-গাছের তৈরি কাঁকড়া ব্রিজ। বিচে প্রবেশপথে দুপাশে ঝাউবন। আপনার মনে হবে যেন মিনি সুইজারল্যান্ড। এই সৈকতেও প্যারাসেলিং করার সুযোগ রয়েছে।
৪. সোনারপাড়া বিচ
রেজুখাল ব্রীজের পরেই সোনারপাড়া বিচের অবস্থান। এই বিচে ঝাউগাছ বাড়িয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য। এই বিচে গেলেই দেখা মিলবে ভাইরাল মোবাইল ফটোগ্রাফার কাজলের দেখা। যেখানে খাওয়া যাবে ফ্রেশ ডাব। এছাড়া রয়েছে হ্যামকে চড়ার সুযোগ।
৫. টেকনাফ সাগরপাড়ের প্রাচীন মসজিদ
মেরিন ড্রাইভ হয়ে যেতে যেতে যেতে দেখা মিলবে প্রাচীন একটি মসজিদের। মসজিদটির অবস্থান টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকায়। মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। এর দেয়াল ঘেঁষে একটি বড় মিম্বার রয়েছে। মসজিদটিতে একটি মেহরাব রয়েছে এবং দেয়ালে ছোট ছোট কয়েকটি খোপ রয়েছে। এটি পোড়া ইট, বালু, চুণ এবং সুরকি দিয়ে নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি দর্শনীয় স্থান যা সম্পর্কে সবার অজানা।