গণিতে ১ পেয়েছিলেন আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মা
চীনের জনপ্রিয় ট্রেডিং সাইট আলিবাবা ডট কম এর কর্ণধার এবং দেশটির শীর্ষ ধনী ব্যক্তি জ্যাক মা। তিনি চীনের একটি দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠেন। কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দু'বার ব্যর্থ হন। আলিবাবার সফলতার আগে জ্যাক মা কয়েক ডজন চাকরি থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন কিন্তু দমে যাননি, কখনো হাল ছাড়েননি। তাই বর্তমানে সারা বিশ্বের তারুণদের কাছে একজন আইকন জ্যাক মা।
বর্তমানে জ্যাক মা'র সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। আলিবাবাতে তার ৭.৮ শতাংশ শেয়ার আছে এবং পেমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান আলি পে'তে তার শেয়ার প্রায় ৫০ শতাংশ।
প্রাথমিক জীবন
জ্যাক মা ১৯৬৪ সালে পূর্ব চীনের চচিয়াং প্রদেশের হাং চৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিন সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার এক বড় ভাই এবং ছোট বোন ছিল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। জ্যাক এর বাবা-মা গান গেয়ে বেড়াতেন। ছাত্র হিসেবে জ্যাক মা ভাল ছিলেন না। তিনি হুয়াংঝু টিচার্স ইন্সটিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। ১৯৮৮ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
জ্যাক মা সম্পর্কে মজার তথ্য হচ্ছে:
কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফেল
জ্যাক মা ১৯৮২ সালে চীনা কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় গণিতে ১ নম্বর পেয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। ১৯৮৩ এবং ১৯৮৪ সালে আবার চেষ্টা করেন। অবশেষে ১৯৮৪ সালে গণিতে ৮৯ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
ওয়েটার হিসেবে প্রত্যাখ্যাত
জ্যাক মা এবং তার চাচাতো ভাই যখন একটি হোটেলে ওয়েটার পদের জন্য আবেদন করেছিলেন, তখন জ্যাক মাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কারণ তিনি ছিলেন খুব বেশি রোগা, ছোট এবং সাধারণভাবে একজন দুর্বল চেহারার মানুষ।
কীভাবে সফল হতে হয় ?
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি অনেক সময় তরুণদের পরামর্শ দিয়েছেন। সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করা ব্যক্তিটির বিখ্যাত কিছু উক্তি সম্পর্কে জেনে নিই।
# আমি প্রযুক্তিবিদ নই। কিন্তু সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে আমি প্রযুক্তি দেখি।
# ক্ষুধার্ত থাকো এবং স্বপ্নের পেছনে দৌড়াও।
# দরিদ্র হয়ে জন্মানো দোষের না কিন্তু দরিদ্র হয়ে বাকি জীবন পার করাটাই দোষের।
# আপনি যদি দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়ে ৩৫ বছর বয়সেও দরিদ্র থাকেন তবে সেটা কপালের দোষ নয়, আপনি এটি প্রত্যাশা করেন। কারণ আপনি তরুণ বয়সকে কোন কাজে লাগাতে পারেননি।
# জীবনে অনেক উপরে উঠতে হলে ২৫ বছর থেকেই শুরু করুন। যা আপনি উপভোগ করেন তা নিয়ে পরিকল্পনা করুন।
# এগিয়ে যাও তা না হলে ঘরে ফিরে যাও।
# নিজেকেই কোন কাজে এগিয়ে আসতে হবে। চিন্তা করতে হবে, ভাবনার সঙ্গে বাস্তবতার সন্নিবেশ ঘটাতে হবে।
# অনেকেই হতাশ হয়ে যায়। যখন আমাদের টাকা থাকে তখন আমরা ভুল করা শুরু করি।
# আমি নিজেকে সবসময় আনন্দিত রাখার চেষ্টা করি। কারণ আমি যদি খুশি না থাকি তবে আমার সহকর্মী, অংশীদার ও ক্রেতারাও খুশি থাকবে না।
# জীবনে অনেক উপরে উঠতে হলে ২৫ বছর থেকেই শুরু করুন। যা আপনি উপভোগ করেন তা নিয়ে পরিকল্পনা করুন।
# এগিয়ে যাও তা না হলে ঘরে ফিরে যাও।
# নিজেকেই কোন কাজে এগিয়ে আসতে হবে। চিন্তা করতে হবে, ভাবনার সঙ্গে বাস্তবতার সন্নিবেশ ঘটাতে হবে।
# অনেকেই হতাশ হয়ে যায়। যখন আমাদের টাকা থাকে তখন আমরা ভুল করা শুরু করি।
# আমি নিজেকে সবসময় আনন্দিত রাখার চেষ্টা করি। কারণ আমি যদি খুশি না থাকি তবে আমার সহকর্মী, অংশীদার ও ক্রেতারাও খুশি থাকবে না।