নিজের মধ্যে থাকতাম না মদ খেলে, তখন পরিবার আতঙ্কে থাকত

এক সময়ের বলিউডের পর্দা কাঁপানো নায়ক তিনি। ঝলমলে আলো, তুমুল জনপ্রিয়তা- সবই ছিল ববি দেওলের জীবনের অংশ। কিন্তু সময় এক ভয়ংকর শিক্ষক; সেই আলো নিভে গিয়েছিল ধীরে ধীরে। হতাশা, অবসাদ আর নেশার অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র পুত্র।
আবার তিনি আলোয় ফিরেছেন। অ্যানিম্যাল সিনেমায় খলনায়ক চরিত্রে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি যেন ঘোষণা দিয়েছে ববি দেওল ফিরে এসেছেন, আরও পরিণত, আরও গভীর হয়ে। এরপর আরিয়ান খানের ওয়েব সিরিজ দ্য ব্যাডস অব বলিউড-এ তার অভিনয় নতুন প্রশংসা পেয়েছে।
১৯৯৫ সালে 'বারসাত' দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন ববি। একে একে 'গুপ্ত', 'সোলজার', 'বিচ্ছু', 'আজনবি'- প্রতিটি ছবিই তাকে পৌঁছে দেয় জনপ্রিয়তার শিখরে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে কাজ কমতে শুরু করে। আলো ফিকে হয়, মানুষ ভুলতে থাকে তার নাম। একসময় মদ আর একাকিত্বে ডুবে যান ববি দেওল।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি খোলামেলা স্বীকার করেছেন, 'মদের নেশা ভয়ঙ্কর। এটা মস্তিষ্কের সঙ্গে খেলা করে। আমি প্রতিদিন মদ খেতাম না, কিন্তু যখন খেতাম, তখন নিজের মধ্যে থাকতাম না। পরিবার আতঙ্কে থাকত।'
অন্ধকার সেই সময়টিতে তার সবচেয়ে বড় আলো হয়ে আসে তার সন্তানের সরল কথা। তিনি বলেন, একদিন আমার ছেলে তার মাকে বলল, 'মা, তুমি তো রোজ কাজে যাও, বাবা তো বাড়িতে বসে থাকে।' কথাটা আমার হৃদয়ে বাজলো। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিলাম- এভাবে আর নয়।'
তারপর শুরু হয় নতুন পথচলা। মদ ছাড়লেন, নিজেকে নতুন করে গড়লেন। পাশে ছিলেন স্ত্রী তন্যা- সব ভাঙনের মধ্যেও যার ভালোবাসা ছিল অবিচল।
ববি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, 'অন্য কেউ হলে হয়তো এমন আচরণ সহ্য করত না। তন্যা আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। মা-বাবার পর তিনিই আমার ভরসা।'
Comments