গাছের চারা না পেয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন বিএনপি নেতা

বরিশালের হিজলায় ফলজ গাছের চারা না পেয়ে এক উপজেলা কৃষি কমকর্তাকে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহিদুল আলম। তিনি জানান, হামলার শিকার উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রোববার সকালে উপজেলার বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের মাঝে নারিকেল গাছের চারা বিতরণ করে হিজলা উপজেলা কৃষি অফিস। গাছের চারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও দেয়া হয়। এ কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন- উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম।
তারা আরও জানান, সরকারিভাবে বিতরণ করা গাছের চারা থেকে বঞ্চিত হন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান। এতে ক্ষুব্ধ হন তিনি।
এর জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামকে পেয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ওই বিএনপি নেতা। একপর্যায় তিনি ও তার ছেলে হিজলা ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিসান দেওয়ান মিলে ফখরুল ইসলামকে প্রকাশ্যে মারধর করে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, নারিকেল গাছের চারা বিতরণকে কেন্দ্র করে হিজলা উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফকরুল ইসলামকে মারধর করা হয়েছে। ইউএনও'র সাথে পরামর্শ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেনি হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস সিকদার। এমনকি ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান উল আল আজাদ জনি।
যদিও হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহিদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় এজাহার নিয়ে কৃষি কর্মকর্তা থানায় এসেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন দেওয়ানের। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উপজেলা বিএনপির একটি অংশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সমঝোতার প্রস্তুাব দিয়েছেন। তবে তাদের সেই প্রস্তাবে সায় দেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
Comments