চাঁদপুরে মিলছে না কেজি দরে ইলিশের ডিম! ক্রেতাদের হতাশা

দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড়ষ্টেশন মাছঘাটে মিলছে না কেজি দরে ইলিশের ডিম। এতে করে টাকা নিয়ে এলেও ইলিশের ডিম না পেয়ে হতাশা নিয়ে খালি হাতেই বাড়ী ফিরছেন ক্রেতারা।
১৮ জুন বুধবার সন্ধ্যায় ইলিশের ডিম না থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বড়ষ্টেশন মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার।
তিনি বলেন, এখন ইলিশ কম এবং দামও তুলনামূলক বেশি।ঘাটে যে পরিমাণ ইলিশ আসার কথা তা এখনো আসা শুরু হয়নি। তাই এই সময়ে এতো দাম দিয়ে কেউ ইলিশের ডিম বের করে বিক্রি করার সাহস করছে না। তবে ডিমওয়ালা কিছু বড় ইলিশ রয়েছে। কেউ চাইলে সেই ইলিশগুলো কিনে নিজের ডিম খাওয়ার শখ পূরণ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, এক কেজি ডিম বের করতে হলে কমপক্ষে ১০/১২ কেজি ইলিশ কিনতে হবে। তাছাড়া এখনো মাছঘাটে চারদিকের ইলিশ আসা শুরু হয়নি। হয়তো আর মাসখানেক পর যখন সবদিকের ইলিশ ঘাটে আসবে। তখন মণ প্রতি ইলিশের দাম কমবে। সে সময় আবার ইলিশের ডিম বের করা শুরু হলে পুরোদমে তা পাবেন ক্রেতারা।
রনি নামের একজন ক্রেতা জানান, অনেক আশা নিয়ে ঘাটে এসেছি ইলিশের ডিম কিনতে। কিন্তু দুঃখজনক। টাকা নিয়ে এসেও ইলিশের ডিম না পেয়ে ফেরত যাচ্ছি।
এর আগে প্রতি মৌসুমেই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের পাশাপাশি ইলিশের ডিমের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দামও হু হু করে বাড়ানো হয়। এতে ইলিশের ডিম কেজিপ্রতি ৩৩শ' হতে ৩৬শ' টাকা হয়ে থাকে।
হাজী মোহাম্মদুল্লা খান লোনা এবং ডিম সংরক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক আজিজুল হক আকাশ বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম। এই ইলিশের থেকে প্রতি মণে ৫/৬ কেজি করে ডিম বের করা হতো। যা একে বারেই কম। তাই ক্রেতাদের চাহিদা মিটাতে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম বলেই দক্ষিণাঞ্চলের ৩ ও ৪ নাম্বার ইলিশের ডিম দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হয়। তবে এখন ইলিশের ডিম বের করার কাজ নেই। হয়তো কিছুদিন পর আবার এ কাজ শুরু হবে।
Comments