দখলকৃত সব নদী-খাল ভূমিদূস্যদের কাছ থেকে উদ্ধারের দাবি রাইট টক বাংলাদেশের

"নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ, নাব্যতা রক্ষা করে ফিরিয়ে আনবো সোনার বাংলাদেশ" এই প্রতিপাদ্যে সামাজিক সংগঠন রাইট টক বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মানববন্ধন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার বিকেলে চকবাজারের সোয়ারীঘাঁট নৌ-বন্দর এলাকায় এই মানববন্ধন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন রাইট টক বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আল আমিন এম তাওহীদ, সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা সেলিম রেজা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রেজিনা আক্তার শিল্পী, অপু হস্তশিল্পের সিইও অপু, কামরুল হাসান মেহেদী ও রাহাত মিয়া।
এসময় রাইট টক বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আল আমিন এম তাওহীদ বলেন, সারাদেশের নদী ও খালের অবস্থা করুন। ভূমিদস্যুরা প্রায় ৪০ শতাংশ খাল নদী দখল করে নানা ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এমনকি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরকারি খাস জমি তাও দখল হয়ে গেছে। দোকানপাট ও শিল্পকারখানার মালিকরা সরকারি সম্পত্তি দখল করেছে। এদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সম্পদ উদ্ধার করতে হবে।

নদী ও খাল এখন দূষিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, শিল্পকারখানা বর্জ্য, পলিথিন, প্লাস্টিক বোতলসহ নানা ধরনের ময়লায় এখন নদী আর নদী নেই এসব পরিনত হয়েছে মানুষের টয়লেট বাথরুমে। নদী খালের ওপর এই দানব সমাজের যে অত্যাচার সেটা নদীর তীরে না গেলে বুঝতেই পারতাম না। পানি কিচকিচে কালো ময়লা এবং দুর্গন্ধ। একজন সুস্থ মানুষ বুড়িগঙ্গা নদীতে গেলে সে অসুস্থ হয়ে ফিরবে এতোটাই পরিবেশ দূষিত হয়েছে। যারা নদী ও খাল দূষণে যুক্ত তাদেরকে ফাঁসি দিতে হবে, কারণ এরা দেশ জাতি এবং সমাজের চির শত্রু। সরকারের কাছে জোর দাবি থাকবে আগামি ১মাসের মধ্যে দখল হওয়া নদী ও খাল দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে।

সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা সেলিম রেজা বলেন, পলিথিন বন্ধে আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। পলিথিন উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু কোম্পানি বন্ধ হচ্ছে না। যতক্ষণে কোম্পানি বন্ধ না হবে ততদিনে পলিথিন বন্ধ করা যাবে না। আইন থাকলে যদি সেটার প্রয়োগ না হয়, তাহলে সে আইন করে বা রেখে কোনো সুফল নেই।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, নদীর পরিবেশ রক্ষায় সরকারকে এখনি যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। নদীর নাব্যতা ফেরানো এবং সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের এখনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে।
পরে মানববন্ধন ও র্যালী শেষে বুড়িগঙ্গা নদী ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করে সংগঠনটির সদস্যরা।
Comments