পাটুরিয়া ঘাটে পরিবহন নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে নীলাচল পরিবহনের জিপির নামে চাঁদাবাজি নিয়ে পরিবহন মালিক পক্ষ ও ঘাট নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। প্রতি বাস থেকে ২২০০ টাকার বেশি চাঁদা আদায় করা হচ্ছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। বাড়তি ভাড়ার বোঝা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদেরও।
বর্তমানে ঘাটে প্রধানত তিনটি পরিবহন সংস্থা—নীলাচল, সেলফি এবং পদ্মা প্লাস—পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে চিটাগং রোডে একমাত্র নীলাচল পরিবহন নিয়মিত চলাচল করে।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ , প্রতিদিন ঘাট থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোকে 'জিপি'র নামে চাঁদা দিতে হচ্ছে, যার মধ্যে পাটুরিয়া, উথলী, বরংগাইল, মানিকগঞ্জ, গাবতলী ও চিটাগং রোডে আলাদা আলাদা হারে টাকা কাটা হয়।
একাধিক বাস মালিক জানান, ৫ আগস্টের সরকার পরিবর্তনের পর কিছুদিন জিপি বন্ধ থাকলেও বর্তমানে তা আবারও শুরু হয়েছে, এবং আগের চেয়ে বেশি হারে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন বাস পরিচালনায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

অন্যদিকে, নীলাচল পরিবহনের জিএম সরোয়ার ও রোড ইনচার্জ সুমন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন, জিপির নামে কোনো চাঁদা নেওয়া হয় না, বরং পরিবহন পরিচালনার স্বাভাবিক ব্যয় মেটাতেই কিছু অর্থ কাটা হয়।
ঘাটের পরিচালক মো. জসিম খান জানান, কিছু বাড়তি কাটা হলেও বিষয়টি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে শিবালয় মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন দাবি করেন, তিনি নীলাচলের মালিক নন এবং ঘাটে কীভাবে টাকা আদায় হচ্ছে, সে বিষয়ে অবগত নন।
এ নিয়ে শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিবালয়ের ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, ঈদে বাড়তি ভাড়া রোধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘাটে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না, প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।
Comments