শিবচরে 'মিথ্যা মামলা'র প্রতিবাদ করলো গ্রামবাসী

মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক এক ইউপি সদস্য ও তার দুইভাইয়ের বিরুদ্ধে দুটি মানবপাচারের 'মিথ্যা মামলা' দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সন্যাসীর চর ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি গ্রামে এই মানববন্ধন হয়। এতে এলাকার শতাধিক নারী–পুরুষ অংশ নেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন এলাকার বাসিন্দা জুয়েল রানা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার রামপুরা থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় শিবচরের রাজারচর মোল্লাকান্দি গ্রামের শুক্কুর বেপারীর ছেলে ও সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লালমিয়া বেপারী এবং তার দুইভাই চাঁন মিয়া বেপারী ও হেয়ায়েত উদ্দিন বেপারীকে। এই মামলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চর থেকে লাল মিয়া বেপারীকে গ্রেফতার করে রামপুরা থানা পুলিশ।
পরে মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর খোঁজ নিলে স্বজনরা আরো একটি মানবপাচার মামলার সন্ধান পান। ২৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার গোয়ালচামট এলাকার আব্দুল সাত্তারের ছেলে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন। সেই মামলাও সাবেক ইউপি সদস্য ও তার দুইভাইকে আসামি করা হয়। এই দুটি মামলায় যথাক্রমে ৪ ও ৭ জন আসামি রয়েছেন। কোন কারণ, তদন্ত বা নোটিশ ছাড়া সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার ও মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। দ্রুত এই দুটি মানবপাচার মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতার লাল মিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তারা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইতালি নেয়ার কথা বলে বাদী ও বাদীর বন্ধুদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন আসামিরা। পরে ইতালি নিতে ব্যর্থ হলে আদালতে মামলা করেন। আদালত শুনানী শেষে দুটি মামলাই থানা পুলিশকে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
এ সময় সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কহিনুর হাওলাদার, ইউপি সদস্য জুলহাস মাল, গ্রেফতার লাল মিয়া বেপারীর মেয়ে মারিয়া আক্তার, হেমায়েত উদ্দিনসহ এলাকার তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাজধানীর গুলশান থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, বাদী ও আসামিরা পূর্বে পরিচিত কিনা সেটা জানা নেই। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে। তবে, ঘটনার সত্যতা না পাওয়া গেলে কাউকেই হয়রানী করা হবে না।
Comments