সাংবাদিকের উপর হামলায় উত্তাল দশমিনা

পটুয়াখালীর দশমিনায় আল-মামুন নামে এক ঠিকাদার কর্তৃক সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে উপজেলার পরিবেশ। ইতিমধ্যে হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভাইরাল হয় হামলার ভিডিও।
ঘটনার পর নিন্দায় ফেটে পড়েছেন ছাত্রদল, যুবদল, গণঅধিকার পরিষদ,ছাত্র শিবির, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, শিক্ষক সমাজসহ সাংবাদিক এবং সাধারণ নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে নামেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিকরা। এসময় অভিযুক্ত ঠিকাদারকে গ্রেফতার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
জানা যায়, উপজেলা পিআইও অফিসের আওতায় বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী ধোপা বাড়ির সামনে একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছিল। বুধবার ব্রিজের ঢালাইয়ের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে দৈনিক বিজের সাংবাদিক হাসান মোল্লাকে জানান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সাংবাদিক ঢালাইয়ে সিমেন্ট পাথরের মিশ্রণের আদর্শ অনুপাত ঠিক নেই দেখতে পান। পরে, সেখানে উপস্থিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম কর্পোরেশনের আল-মামুনের কাছে অভিযোগের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক হাসান মোল্লাকে গালমন্দসহ মারধর করেন। হামলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়ালে বুধবার থেকেই ক্ষোভে উত্তাল হয় ওঠে দশমিনার পরিবেশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে সচেতন নাগরিক ও উপজেলা যুব সমাজের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আবুল বশার, হেফাজত ইসলামের সভাপতি এইচ কে এম ওবায়দুল্লাহ হামজা, ছাত্রঅধিকার পরিষদের আল আমিন, উপজেলা শিবিরের সভাপতি জুবায়ের, মুহা. ইমরা হোসাইন, মুহা. রাকিবুল ইসলাম, জাকির হোসাইন, হাসানুজ্জামান, আ. সালাম, মাও. রুহুল আমিন, শিক্ষক সাইফুর রহমান, মাও. রিদুয়ান আল কাউসার, হা. শামিম হোসাইন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযুক্ত ঠিকাদারকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় লাগাতার আন্দোলনের চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। মানববন্ধন শেষে ইউএনও বরাবরে স্মারক লিপি দেয়া হয়।
Comments