আলোচিত পূর্ণীমারাণী ধর্ষণ মামলা মিথ্যা; ১৫ বছর পর দাবি স্বাক্ষীর

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আলোচিত পূর্ণীমা রাণী ধর্ষণ মামলা মিথ্যা এবং সাজানো দীর্ঘ ১৫ বছর পর দাবি করলেন এই মামলার স্বাক্ষী সাধন কুমার সরকার। রোববার (২ মার্চ) সকালে উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন পূর্ণীমা রাণী কে নিয়ে ২০০১ সালে তার বাবা অনিল চন্দ্র শীল ধর্ষণের মামলা করেছিলেন এবং সেই মামলায় তাকে ৭ নম্বর স্বাক্ষী দেওয়া হয় তা তিনি জানতেন না।
পরে ২০১০ সালে সাক্ষগ্রহনের আগের দিন সাধন কুমারের বাসায় পুলিশ পাহাড়ায় থাকে যেন সাধন কুমার পালিয়ে যেতে না পারে। এবং পরের দিন সকাল বেলা পুলিশ পাহাড়ায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তৎকালীন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এর মাধ্যমে তাকে একটি লিখিত বক্তব্য হাতে তুলে দেয় এবং সেই বক্তব্য তাকে আদালতে পেস করতে বলে।
আদালতে তিনি বক্তব্য না দেওয়ায় তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে জানায় সাধন কুমার সরকার। পূর্ণীমা রাণী ধর্ষণ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেও জানান। তৎকালনী সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার উপর এই অন্যায় অবিচার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় তিনি সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামিদের মুক্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর পূর্ণিমা রাণী শীল সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারের ঘটনায় তাঁর বাবা অনিল চন্দ্র শীল ১৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে ২০১১ সালের ৪ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, আব্দুল জলিল (৪০),আলতাফ হোসেন (৩৫), আব্দুল মমিন (২৮), আলতাফ (২৮), জহুরুল ইসলাম (২৮), হোসেন আলী (২৮), লিটন মিয়া (২৮), ইয়াসিন আলী (৩৭), আব্দুর রউফ (৩০), আব্দুল মিয়া (২৮) ও বাবলু মিয়া (২৮)।
Comments