নান্দাইলের শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদন্ড
![](https://dhakajournal.com/sites/default/files/styles/big_1/public/images/2025/02/06/xrecorder_edited_20250206_03.jpg?itok=HEkKwv2V×tamp=1738834314)
ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমি বিরোধ ও মুক্তিপনে টাকা আদায়ের চেষ্টাকালে শিশু তাসিন হত্যা মামলায় শহীদ মিযাকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্তকে বিভিন্ন ধারায় অর্থদন্ডও প্রদান করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা জজ আলী মনসুর এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, নান্দাইলের মুসুল্লী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম ও স্ত্রী মোছাম্মৎ পলিনা খাতুনের সংসারে এক ছেলে তাসিন ও এক মেয়ে মিতু রয়েছে। বিদেশে থাকার কারনে অর্থলোভে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষে ২০১৬ সালের ১৫ আগষ্ঠ সকালে বাডির পাশে আনন্দ স্কুলে যাওয়ার পথে প্রথম শ্রেনি পড়ুয়া তাসিনকে তুলে নিয়ে যায় প্রতিবেশি শহীদ মিয়া। পরে অভিযুক্তরা তাসিনের বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায় ত্রিশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাসিনকে ফিরে পাবে।
পরদিন তাসিনের কান্নাকাটিতে অভিযুক্তরা গলা টিপে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য শহীদ মিয়া পাশের বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়। অনেক খোজাখুজির পর তাসিনকে না পেয়ে পুলিশে আশ্রয় নেয় তাসিনের পরিবার। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকে শহীদ মিয়াকে আটক করে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার দুইদিন পর অর্ধগলিত অবস্থায় তাসিনের লাশ টয়লেটের ট্যাক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত শিশু তাসিনের মা পলিনা খাতুন ১৭ আগস্ট নান্দাইল থানায় এগারো জনকে আসামী করে মামলা করলে পুলিশ তদন্তে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসীট দেয়।
মামালায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালত অভিযুক্ত শহীদ মিয়ার সাথে ঘটনার সম্পৃক্তাতায় আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি দের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমান না পাওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাশ প্রদান করেন।
রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. শমীম উল আজম খান লিসন ও আসামি পক্ষের মনোয়ার বেগম পারভীন মামলাটি পরিচালনা করেন।
Comments