কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ বিএডিসির নৈশ্য প্রহরীর
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সাধারণ মানুষকে সেচ লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে বিএডিসির নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই প্রতারকের নামে বিএডিসি বরাবর লিখিত আবেদন করেছে কয়েকজন ভুক্তভোগী। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আড়িয়া মোহনপুর গ্রামের হয়রত আলীর ছেলে আলমাছ শেখ, উল্লাপাড়া শাখার বিএডিসি জোনের নৈশ্য প্রহরী হিসেবে কর্মরত থাকায়, ওই সব এলাকার একাধিক লোকজনের কাছ থেকে সেচের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, সেচের লাইসেন্স করার জন্য আমরা উল্লাপাড়া শাখার বিএডিসি অফিসে যোগাযোগ করলে নৈশ্য প্রহরী আলমাছ শেখ, সেচ লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে টাকা দাবি করে। পরে কারো কাছে ১০ হাজার কারো ৫ হাজার কারো কাছে ৩ হাজার ৫০০ কারো কাছে ৭ হাজার কারো কাছে ৩ লাখ, এরকম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা দেওয়ার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও প্রতারক আলমাছ শেখের কাছে সেচের লাইসেন্স এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী প্রতারক আলমাছের কাছে তাদের দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাবে কৌশলে টাকার কথা এড়িয়ে যান। অবশেষে ভুক্তভোগীরা বিএডিসি বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বিএডিসি ঢাকা অফিসের উপ-হিসাব নিয়ন্ত্রক মো. শাহজালাল তদন্তের জন্য উল্লাপাড়া শাখায় আসেন। এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তাদের দেওয়া অভিযোগের সতত্যা নিশ্চিত করেন।
এ সময় ভুক্তভোগীরা প্রতারক আলমাছের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে বিএডিসি উল্লাপাড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী শাহী আমিন জানান, কয়েক জন ভুক্তভোগী আমার অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে আমি আমার সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগটি দাখিল করি। এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ জানাই। তারই প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রথম দফা তদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার আবার দ্বিতীয় দফা তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে আলমাছ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএডিসি ঢাকা অফিসের উপ-হিসাব নিয়ন্ত্রক মো. শাহজালাল বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আমি তদন্তে এসে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই এই তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। প্রতিবেদন শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ও দেন তিনি।