গ্রাহকদের জন্য কতটা সুবিধাজনক হবে স্টারলিংক

বর্তমানে দেশে সাবমেরিন কেবল প্রক্রিয়ায় বা সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে গ্রাহককে। এ প্রক্রিয়ায় নানা কারণেই মাঝে মধ্যে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার দাবি রয়েছে গ্রাহকদের। এ অবস্থায় গত ৯ এপ্রিল দেশে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা করে স্টারলিংক।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি, মার্কিন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদ ইলন মাস্কের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স তাদের স্টারলিংকের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা সরবারহ করছে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্টারলিংকের ইন্টারনেটসেবা জিওস্টেশনারি (ভূস্থির উপগ্রহ) থেকে আসে, যা ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার উপর থেকে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে।
তারবিহীন উচ্চমানের ইন্টারনেট সেবা পেতে এরইমধ্যে স্টারলিংকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং সাধারণ পর্যায়ের গ্রাহকরা। এরইমধ্যে এর সুবিধা-অসুবিধা, খরচ এবং এর উপকারভোগী হওয়া নিয়ে কিছু বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছ। এ ব্যাপারে কথা বলেছেন তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিআইও এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির।
স্টারলিংকের সুবিধা:
এ তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রথমেই স্টারলিংকের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানান। তিনি বলেন, স্টারলিংকের বড় সুবিধা হচ্ছে এটি তারবিহীন হওয়ায় যেকোনো জায়গায় সেটআপ করা যায়। সহজেই বহন করা যায়। আমরা সাধারণত হয়তো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বা বড় বড় অফিস-ফ্যাক্টরিতে প্রয়োজনীয় কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণেই কিন্তু প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়। কিন্তু স্টারলিংকের ফলে সেই সেবা ব্যহত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে না।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্টারলিংক:
তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন— শহরের বড় বড় ভবনে বাসা-বাড়ির ছাদে খুব সহজেই একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি স্টারলিংক সেটআপ করতে পারেন। কিন্তু আমাদের প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি বা ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিতে লাখ টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাবলের প্রয়োজন হয়, সেখানে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচে স্টারলিংক নেয়া সম্ভব হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষরা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ গ্রামে বাড়িতে বসেই করতে পারছেন।
মুভিং অ্যাডভানটেজ:
স্টারলিংক একটি মুভিং সিস্টেম ইন্টারনেট সেবা। এটি যেমন শহর বা গ্রামে সহজেই কানেক্ট করা যায়, একইভাবে গাড়ি যেমন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস বা প্লেন-উড়োজাহাজ ও নদী-সমুদ্রে নৌকা ও জাহাজেও ব্যবহারযোগ্য বলে জানালেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির। তিনি বলেন, আপনি নিজের ছুটি বা ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজ ছুটিতে পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবেন, সেখানেও সহজেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পেতে পারেন স্টারলিংকের মাধ্যমে। এটি তারবিহীন হওয়ায় নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে সেট করা যায়। কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকছেন, সেখানে ব্যবসায়ীক কারণে ইন্টারনেট সেবা দিতে বা উপভোগ করতেও এটি সহজ মাধ্যম। অথচ এখানে স্টারলিংক না থাকলে আপনার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পেতে মোটা অঙ্কের অর্থ গুনতে হতো। ঠিক একইভাবে নদী-সাগড়ে নৌকা কিংবা জাহাজে স্টারলিংক ব্যবহার করতে পারবেন।
ইন্টারনেট গতি:
এ তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এই ব্যাপারে বলেন, বর্তমানে আমরা যে ইন্টারনেট (ব্রডবান্ড ইন্টারনেট) ব্যবহার করি, তা কিন্তু নির্দিষ্ট একটি গতিতে থাকে। প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন গতির ইন্টারনেট নেয়া হয়। কিন্তু সেটিও মাঝে মধ্যেই উঠা-নামা করে বলে অভিযোগ থাকে গ্রাহকদের। এদিকে স্টারলিংকের ক্ষেত্রে প্যাকেজ অনুযায়ী সবাই সমান গতির সেবা পাবেন। যা প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট। গ্রাহকের ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকার কথা নয়। সার্বিকভাবে এটি গ্রাহকের জন্য সহজ ও উচ্চতর গতির ইন্টারনেট সেবা বলে মনে করি আমি।
স্টারলিংকের অসুবিধা:
স্টারলিংক ইন্টারনেটের নানা সুবিধা নিয়ে কথা বললেও আলাপচারিতার মাঝে এর অসুবিধা নিয়েও প্রশ্ন রাখা হয় তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবিরের কাছে। হাসতে হাসতে তিনি বলেন— প্রতিটি জিনিসেরই কিছু না কিছু অসুবিধা থাকে। স্টারলিংকও এর ব্যতিক্রম নয়। এর সুবিধাই তো বেশি। অসুবিধা এতটুকুই, ভালো ইন্টারনেট পেতে আপনাকে ছাদে হয়তো হাঁটার প্রয়োজন হতে পারে। আর সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে এককভাবে স্টারলিংক সেটআপ হয়তো কিছুটা খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার। কেননা, এটি ক্রয়ের সময় প্রায় পঞ্চাশ হাজার বা এরও বেশি অর্থ প্রয়োজন হবে। যা অনেকের কাছেই অসম্ভব। এছাড়া তেমন কোনো অসুবিধা দেখছি না।
তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু করেন ইলন মাস্ক। যা পরবর্তীতে অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিস্তৃত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট বলছে—বিশ্বের প্রায় ১২৫টি দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু এবং এর গ্রাহক সংখ্যা ৫০ লাখেরও অধিক।
বাংলাদেশে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে যাত্রা শুর করেছে। একটি রেসিডেন্ট, অন্যটি রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬ হাজার টাকা, অন্যটিতে ৪ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু এটি সেটআপের জন্য এককালীন গুনতে হবে ন্যূনতম ৪৭ হাজার টাকা। এর কোনো স্পিড ও ডেটা লিমিট নেই। সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
নিম্ন আয়ের মানুষদের ব্যবহার প্রক্রিয়া:
স্টারলিংক সেটআপে ন্যূনতম প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও অনেকের মতামত। তাহলে কী নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা পাবেন না―এ ব্যাপারেও কথা বলেন সুমন আহমেদ সাবির। তিনি বলেন— স্টারলিংক তো কমার্শিয়ালভাবে ডেবিউ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক বিষয় বিবেচনা করেই এটি তৈরি করা। অ্যান্টেনা থেকে বাসায় সেটিংসহ পর্যন্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও ইন্টারনেট সরবরাহ পর্যন্ত আনুষাঙ্গিক হিসাব করেই খরচ ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি। খরচের হিসাব করলে সাধারণ মানুষদের কাছে এটা অবশ্যই অনেক বেশি। সবার কাছে সহজ হবে, বিষয়টি তাও নয়। তবে যাদের একার পক্ষে এটি ক্রয় করা সম্ভব নয়, তারা কয়েকজন মিলে একত্র হয়ে কিন্তু এটি কিনতে পারেন। সবাই মিলে ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে।
গ্রামে সেটআপ ও বজ্রপাতে পার্শ্ববর্তীদের মধ্যে প্রভাব ফেলবে কিনা:
তরুণদের মধ্যে স্টারলিংকের প্রতি কৌতূহল বেশ। এ কারণে গ্রাম-গঞ্জে অনেকেই এককভাবে বা যৌথভাবে উচ্চগতির এই ইন্টারনেট সেবা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ আবার বলছেন, এটির অ্যান্টেনা সেটআপে পার্শ্ববর্তীদের ওপর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সুমন আহমেদ সাবির বলেন, এটি নিয়ে যেভাবে নেতিবাচকতা দাবি করা হচ্ছে বলছেন, আসলে তেমন নয়। স্টারলিংক থাকলে যে রেডিয়েশন পড়বে, না থাকার ফলেও কিন্তু সেই রেডিয়েশন পড়ছে। হয়তো আমরা তা চোখে দেখতে পাচ্ছি না বা অনুভব করছি না। এটি তো বাসা-বাড়িতে ছাদে বা খোলা মাঠে সেটআপ করা হবে। এতে সেভাবে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাত সেটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিষয়। ঝড়-বৃষ্টির সময় হঠাৎ করেই বজ্রপাত হয়। এতে গাছ-পালা পুড়ে, মানুষের ওপর পড়লে মৃত্যু পর্যন্ত হয়। বজ্রপাতের সময় ফ্রিজ-টেলিভিশন বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স জিনিস কিন্তু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কথা বলা হয়। এখন বজ্রপাত যদি স্টারলিংকের অ্যান্টেনার ওপর পড়ে, তাহলে এর ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক। তবে স্বাভাবিক বজ্রনিরোধক যেটি বাসা-বাড়িতে থাকা প্রয়োজন, সেটি থাকলে স্টারলিংক নিরাপদ।
প্রচলিত ইন্টারনেটে প্রভাব পড়ার ঝুঁকি:
এদিকে তারবিহীন এই ইন্টারনেট (স্টারলিংক) সেবা সহজলভ্য হলে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা ক্ষতির মুখে পড়বে কিনা―এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একাংশ দাবি করছেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে অনেক সংখ্যক মানুষ কর্মরত। তারা হুমকির মুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন— কিছুটা তো প্রভাব পড়বেই। তবে আমার কাছে যা মনে হয়, এতে গ্রাহকদের জন্য ভালো হবে। একইসঙ্গে সার্ভিস প্রোভাইডাররাও তাদের সেবার মান ভালো করবে। গ্রাহকরা ভালো সেবা পেলে কিন্তু তারা সামর্থ্য অনুযায়ী প্রচলিত ইন্টারনেটই ব্যবহার করবেন। যাদের চাহিদা বেশি, তারা স্বাভাবিকভাবেই ব্রডব্যান্ডের বিকল্প কিছু বেছে নেবেন, হোক সেটা স্টারলিংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান।
স্টারলিংক সেবা, যা ভবিষ্যতে কোনো সরকার বন্ধ করতে পারবে না:
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভবিষ্যৎ সরকারগুলো আগামীতে যেন কোনো অজুহাতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যই বাংলাদেশে স্টারলিংককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে স্টারলিংক যাত্রা করার পর সরকারের এ প্রেস সচিবের মন্তব্যের সঙ্গে অনেকেই একাত্মতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বিগত সময়ের নির্দিষ্ট কিছু সময়ের উদাহরণ টেনে বলছেন, স্টারলিংক আসায় আগামীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট সেবা চলমান থাকবে। সাধারণ মানুষ থেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সুমন আহমেদ সাবির বলেন, এটা সত্য যে, চাইলেই ভবিষ্যতে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকপর্যায়ে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে পারবে না। সরকার থেকেও চাইলেও এর সেবা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে যদি বাংলাদেশ থেকে এটি সরকার উঠিয়ে দেয়, তাহলে ভিন্ন কথা, বন্ধ হবে। তবে সরকার বা স্টারলিংক কর্তৃপক্ষ কখনো এমন সুযোগ রাখবে বলে মনে হয় না।
কোনো সংস্থা-গোষ্ঠী বা পার্শ্ববর্তী দেশের কারও সুবিধাভোগী হওয়ার দাবি:
এ সরকার যে করিডোর বা স্টারলিংকের কথা বলছে, এসব প্রয়োজন নেই আমাদের। আমরা কি স্টারলিংক ছাড়া এতদিন চলতে পারিনি। এখন এটা কেন লাগছে। কারণ, মিয়ানমারের আর্মিদের জন্য যে এই করিডোরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, এ জন্যই স্টারলিংক, এ ছাড়া অন্য কিছুই না―গত ২৮ মে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এ রাজনীতিবিদের মন্তব্যের দৃষ্টিপাত করা হলে তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন— এটি আমার চোখেও পড়েছে; দেখেছি ও শুনেছি। এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা সমুচিত হবে না। যদি বলতেই হয়, তাহলে বলব—এটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক সেবা। বাংলাদেশে স্টারলিংক থাকুক বা না থাকুক, তাতে যাদের কথা বলা হচ্ছে, তাদের কিছু যায়-আসে না। যখন স্টারলিংক বাংলাদেশে ছিল না, তখন কি তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি, ঠিকই করেছে। তারা তাদের যে কাজ, সেসব ঠিকই করেছে ব্রডব্যান্ড বা ভিন্ন উপায়ে। শুধু বাংলাদেশ নয়, স্টারলিংক পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশে স্টারলিংক আসা বা না আসার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রতিবেশী দেশ যদি অবৈধভাবে ব্যবহার করে, তাহলে এখানে বৈধ-অবৈধতার প্রশ্ন আসতে পারে। সেটিও প্রতিবেশী দেশের বিবেচনার বিষয়।
Comments