যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছে টিকটক
বন্ধের একদিন পর পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী চীনা অ্যাপ টিকটক ব্যবহার করেন। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই টিকটক ব্যবহার করেন ১৭ কোটির বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে ৭০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ করা হয় টিকটক। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি দেখিয়ে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরই দেশজুড়ে অফলাইনে চলে যায় অ্যাপটি। মুছে ফেলা হয় গুগল এবং অ্যাপল স্টোর থেকেও।
তবে, বন্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটিতে আবারও নিজেদের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রতিশ্রুতির পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় টিকটক কর্তৃপক্ষ।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে তিনি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। যেখানে জানিয়ে দেয়া হবে, কোনো প্রতিষ্ঠান টিকটকের সঙ্গে কাজ করলে তাদের সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে না।
সোমবার দায়িত্ব নেয়ার পর অ্যাপটি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবেন বলে জানান ট্রাম্প। তার এমন ঘোষণায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে টিকটক কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন নিউইয়র্ক, মিনেসোটা এবং মিশিগানসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ব্যবহারকারীরা। তাদের দাবি, টিকটক শুধুমাত্র একটি বিনোদন প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং অনেকের কাছে এটি আয়ের উৎস। তাই নিষিদ্ধ হলে এটি শুধু ব্যবহারকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং মার্কিন অর্থনীতির ওপরও প্রভাব ফেলবে।
ব্যবসায়ী ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা অন্যান্য মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও টিকটক নিষিদ্ধ হওয়া তাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অনেকে।