বন্ধ করে দেওয়া হলো ৮৫ লাখের বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট
জনপ্রিয় ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে মাঝেমাঝেই জালিয়াতির কথা শোনা যায়। তবে নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রায়ই কাটছাঁট চালায় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া নতুন নতুন নিয়মও আনা হয় যা অমান্য করলেই শান্তি। এদিকে এসব নিয়ম না মানায় সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ প্রায় ৮৫ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত ভারতে লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকে। বিপল সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকায় হ্যাকাররা মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটিকে বারবার টার্গেট করে। এর ফলে নতুন নিয়ম আনে অ্যাপটি। সম্প্রতি এই নিয়ম না মানার কারণে অক্টোবর মাসে ভারতের প্রায় ৮৫ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে মেটা।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে- গত সেপ্টেম্বর মাসেও তারা ভারতে ৮৫ লাখেরও বেশি খারাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার অ্যাকাউন্ট সক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যবহারকারীদের কোনো অভিযোগ আসার আগেই তা নিষিদ্ধ করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৮ হাজার ১৬১টি অভিযোগ জমা পড়ে যার মধ্যে ৯৭টি মামলার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া হয়।
২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে, সেপ্টেম্বরের মাসিক কমপ্লায়েন্স রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
এর আগে গত আগস্ট মাসেও হোয়াটসঅ্যাপ প্রায় ৮৪ লাখ (৮.৪ মিলিয়ন) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। বন্ধ করে দেয়া অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই স্প্যাম বা অটোমেটেড বার্তা পাঠানোর কারণে বাতিল করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিজস্ব সুরক্ষা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্ল্যাটফর্মে অপব্যবহার রোধে কাজ করছে। মেটার সাম্প্রতিক ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ আগস্টে ভারতে প্রায় ৮৪ লাখ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে। তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম ২০২১-এর ধারা ৪(১)(ডি) এবং ধারা ৩এ(৭) মেনে হোয়াটসঅ্যাপের নীতি লঙ্ঘন বা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত হোয়াটসঅ্যাপের প্রো-অ্যাকটিভ ডিটেকশন মেকানিজমের মাধ্যমে হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যবহারকারীর অভিযোগ দায়ের করার আগেই বন্ধ করা হয়।
হোয়াটসঅ্যাপের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যাপের স্বচ্ছতা ও ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এখন ব্যবহারকারীরা সরাসরি অ্যাপ থেকে ক্ষতিকারক কনটেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারে। ভুয়া তথ্যের বিস্তার রোধে এবং সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে ভুয়া তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে, সাইবার অপরাধ এড়িয়ে চলতে এবং প্ল্যাটফর্মে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ক্ষতিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগ জানাতে ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।