৯ গোলের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন

ম্যাচের বয়স তখন ৬৭ মিনিট। ৫-১ গোলে এগিয়ে স্পেন। গত দুই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ফ্রান্সকে নাস্তানাবুদ করে তখন বড় জয় দেখছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। কিন্তু ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে যেন সব হিসাব-নিকাশ বদলে দেওয়ার মিশনে নেমেছিল ফ্রান্স। ৪ গোলে পিছিয়ে থাকা দলটি মুহূর্তেই স্কোরলাইন ৫-৪ করে ফেলে। তবে শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলটি আর পাওয়া হয়নি তাদের। তাতে ৫-৪ গোলের কষ্টার্জিত এক জয়েই নেশনস লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেছে স্পেন।
স্টুটগার্টের এমএইচপি অ্যারেনায় ২৫ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। ২২ মিনিটে গোলের খাতা খোলেন নিকো উইলিয়ামস। পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিকেল মেরিনো। এই দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্প্যানিয়ার্ডরা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১০ মিনিটের আরও দুই গোল পেয়ে যায় স্পেন। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লামিনে ইয়ামাল এবং পরের মিনিটে পেদ্রি লক্ষ্যভেদ করেন। ফ্রান্সের তখন আক্ষরিক অর্থেই 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপান কিলিয়ান এমবাপ্পে।
কিন্তু ৬৭ মিনিটে ইয়ামাল ম্যাচে দ্বিতীয়বারের জাল খুঁজে পেলে হতাশায় পর্যবসিত হয় ফরাসিরা। তবে দিদিয়ের দেশমের এই ফ্রান্স ঠিক হাল ছাড়ার পাত্র নয়। ম্যাচের শেষ মিনিট দশেকে সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
৭৯ মিনিটে রায়ান শেরকির গোলে ব্যবধান কমায় ফ্রান্স। সদ্য সমাপ্ত ইউরোপা লিগে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার ফরাসি ক্লাব লিওঁ-তে খেলা শেরকি। ৮৪ মিনিটে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান নিজের জালে বল পাঠালে ব্যবধান আরও কমে আসে। যোগ করা সময়ের শেরকির অ্যাসিস্টে লক্ষ্যভেদ করেন রান্দাল কোলো মুয়ানি। স্পেন ৫, ফ্রান্স ৪।
এমএইচপি অ্যারেনার হাজারো দর্শক তখন ফ্রান্সের অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প দেখার অপেক্ষায়। কিন্তু সে অসাধ্য আর সাধন করা হয়নি ফরাসিদের।
নেশনস লিগের অন্য সেমিফাইনালে স্বাগতিক জার্মানিকে ২-১ গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। আগামী ৯ জুন বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনালে মুখোমুখি দুই প্রতিবেশি স্পেন ও পর্তুগাল।
Comments