মুস্তাফিজ কী করে ৬ কোটি রুপিতে চুক্তি করলেন?

অনেকটা চমক দিয়েই মুস্তাফিজুর রহমানকে শেষ সময়ে এসে দলে টেনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬ কোটি রুপিতে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার। যেটা তাকে আইপিএলে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারে পরিণত করেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে তার এই চুক্তির অঙ্ক নিয়ে। নিলামে ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের মুস্তাফিজ কী করে ৬ কোটি রুপিতে দল পেলেন, সেটাও বেশ বড় প্রশ্ন।
আইপিএলে বাংলাদেশের অধ্যায়টা খালিই ছিল এতটা দিন। চলতি মৌসুমে শুরুতে নিলামে একাধিক ক্রিকেটারের নাম থাকলেও কেউই আগ্রহী ছিলেন না বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে। ২০২৫ সালের আইপিএলে তাই প্রায় বেশিরভাগ সময়েই ছিল না বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব। যদিও একেবারে শেষে এসে গল্পটার দৃশ্যপটে বদল এসেছে।
আইপিএল–এর নিয়ম বলছে, কোন খেলোয়াড় যদি চোট বা ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি তার পরিবর্তে অন্য একজন খেলোয়াড়কে রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে নিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানা হয়।
রিপ্লেসমেন্ট খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক অবশ্য মূল খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিকের সমান বা কম হতে হবে। এক্ষেত্রে একজন খেলোয়াড়ের ভিত্তিমূল্য বেশি কিংবা হলেও সমস্যা নেই। যতক্ষণ না ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি অনুযায়ী মূল খেলোয়াড়ের সমান বা কম দামে চুক্তিবদ্ধ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট খেলোয়াড় নেয়া যাবে।
মৌসুমের মাঝপথে গিয়ে দেশি বোলার গুরজাপণীতের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে দলে টেনেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। গুরজাপণীতকে চেন্নাই দলে নিয়েছিল ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে। আর নিলামে ব্রেভিসের ভিত্তিমূল্য ছিল ৭৫ লাখ রুপি। তবে রিপ্লেসমেন্ট চুক্তিতে ব্রেভিসকে ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতেই দলে নিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
আবার এই মৌসুমেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানকে দলে নেয় ইনজুরিতে পড়া আল্লাহ গাজানফারের পরিবর্তে। নিলামে গাজানফারের বেস প্রাইজ ছিল ৭৫ লক্ষ রুপি। আর মুম্বাই তাকে কিনেছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে। পরবর্তীতে মুজিবকে তারা দলে নেয় ২ কোটি রুপিতেই। এক্ষেত্রে মূল খেলোয়াড়ের মূল্য ২ কোটির বেশি থাকায় মুজিবকে দলে নিতে সমস্যা হয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।
Comments