৮ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ, ১৯ উইকেট হবে তো?

বেশ দারুণ কাটছে পিএসএলে সময়টা বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের। এর আগে অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে খেলার সুযোগ থাকলেও বিসিবির অনাপত্তিপত্র জোটেনি রিশাদের। যে কারণে মিস করেছেন হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ।
পিএসএলে ৮ উইকেট পাওয়ার পর লাহোরের স্কোয়াডে রিশাদ নিয়মিত মুখ হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। দলের সতীর্থ কিংবা মালিক প্রত্যেকেই দারুণ মুগ্ধ রিশাদের বোলিংয়ে। তবে রিশাদ নিশ্চয়ই থামতে চাইবেন না এখানেই। এখনো ৬ ম্যাচ হাতে আছে দলটার। রিশাদও চাইলে নিজেকে নিয়ে যেতে পারেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্য এক উচ্চতায়।
তবে পিএসএলে গিয়ে রিশাদ বুঝিয়ে দিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের পতাকা চাইলেই বহন করতে পারেন তিনি। পিএসএলে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন তারই। ৩ ম্যাচ খেলেই নিয়েছেন ৮ উইকেট। পাকিস্তানের এই লিগে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। অবশ্য এখানে রেকর্ডটা ভাগাভাগি করছেন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথমবার যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের। ওরচেস্টারশায়ারের হয়ে ২০১১ সালের ভাইটালিটি ব্লাস্টে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন একসময়ের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এরপরেই আছে আইপিএল অভিষেকে মুস্তাফিজুর রহমানের কীর্তি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেক মৌসুমে মুস্তাফিজ নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। সেটা এখন পর্যন্ত আইপিএলে বাংলাদেশের যেকোন বোলাদের সেরা আসর হিসেবে আছে।
পিএসএলে এরইমাঝে দেশীয় রেকর্ডে সেরা হয়ে যাওয়া রিশাদ চাইলেই পাখির চোখ করতে পারেন সাকিবের ১৯ উইকেটের সেই আসরকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আর কোনো বোলারেরই বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে এরচে ভালো মৌসুম যায়নি। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ছুটতে থাকা রিশাদ নিজেকে কতটা দূরে নিতে পারেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
Comments