শুল্ক নীতির কারণে হুমকির মুখে মার্কিন কৃষিপণ্য রপ্তানি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির কারণে কৃষিপণ্য রপ্তানি, বাজার স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি পাল্টা শুল্ক, প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক চাপ মিলিয়ে মার্কিন কৃষি শিল্প এখন সংকটে। খবর ওয়ার্ল্ড-গ্রেইনডটকম
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অনিশ্চয়তা এখন শুধু বাজারে প্রভাব ফেলছে না, বরং কৃষকদের আগাম চুক্তি, মূল্য নির্ধারণ এবং পরিবহন ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কোব্যাংকের শস্য ও তেলবীজ অর্থনীতিবিদ ট্যানার এহমকে বলেন, 'শুল্ক হবে কি না, সেটাই যখন নিশ্চিত নয়, তখন একটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন। ফলে কৃষিপণ্য কেনাবেচায় ব্যাপক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, শস্য সংগ্রহ কেন্দ্র ও পাইকাররা এখন আর আগাম বুকিং পাচ্ছেন না, যেখানে আগে পাঁচ থেকে দশ মাস আগেই তারা বিক্রয় চুক্তি করতেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র ৫০টিরও বেশি দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করে, যার মধ্যে চীনা পণ্যের ওপর গড়ে ৫৪ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে।
বিশ্লেষক স্টিফেন নিকলসন (রাবোব্যাংক) বলেন, এটা শুধু আলোচনার কৌশল নয়, এখন এটা আমাদের নীতির অংশ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি ২০১৮-১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। ৭ এপ্রিল ট্রাম্প হুমকি দেন, চীন যদি শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে আরও ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। এর মধ্যে আজ থেকে চীনের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর শুরু হয়েছে।
৪ এপ্রিল নাসডাক কম্পোজিট মন্দাবাজারে প্রবেশ করে এবং এক সপ্তাহেই ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য পতন হয়, যা ২০২০ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন।
Comments