উভয় বাজারে সূচক ও লেনদেনে ইতিবাচক গতি

পুঁজিবাজারে আজ ইতিবাচক গতিতে লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ার কেনার প্রবণতা ছিল। যার কারণে শুরুতেই সূচক উর্ধ্বমুখী হয়। এরপর সূচকের সামান্য উঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলতে থাকে। তবে শেষ মুহূর্তে সূচক কিছুটা নেমে লেনদেন শেষ হয়। শেষপর্যন্ত ডিএসইএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট ইতিবাচক থাকতে সক্ষম হয়। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৩ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল। লেনদেন হয় ৫৪৪ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৭৩টি বা ৪৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১৫৪টির। অপরিবর্তিত ছিল ৭১টির দর।
১০৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে বস্ত্রখাত লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। এ খাতে ৬৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ৭৬ কোটি টাকা। খাদ্য খাতে ৬৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ খাতে ৫৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্রাক ব্যাংক, বীকন ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার মিলের দরবৃদ্ধি সূচক ইতিবাচক রাখতে ভূমিকা রেখেছে।
প্রায় ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয় ওরিয়ন ইনফিউশনের। শেয়ারটির দরপতন হয় ৮ টাকা ৬০ পয়সা। বিচ হ্যাচারির ১৫ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে আড়াই টাকা। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২টাকা ৭০ পয়সা। মুনাফা হওয়াতে শেয়ারটির দর বাড়ছে।
স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ৩০ পয়সা। ১১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা লেনদেন হয় ফু ওয়াং ফুডের। শেয়ারটির দর বেড়েছে ২০ পয়সা। এরপরে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করা কোম্পানিগুলো হচ্ছে ড্রাগন সোয়েটার, এসপি সিরামিকস, লোভেলো, কাট্টলি টেক্সটাইল, অগ্নি সিস্টেমস ও ফার ইস্ট নিটিং।
৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে কাট্টলি টেক্সটাইল দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। ৯ শতাংশের বেশি বাড়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিল, দেশবন্ধু পলিমার, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স, এস আলম কোল্ড রোলড, ইসলামিক ফাইন্যান্স এবং এসপি সিরামিকস। ৭ শতাংশের বেশি কমে মেঘনা সিমেন্ট দরপতনের শীর্ষে চলে আসে। এছাড়া খুলনা প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড দরপতনের শীর্ষে অবস্থান করে।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকার। এর মধ্যে এককভাবে গ্রামীণ ফোনের ২০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। সিএসইতে সূচকের বড় উত্থানে ভূমিকা ছিল গ্রামীণ ফোনের। লেনদেন হওয়া ২০৮ টি কোম্পানির মধ্যে ১০৯টির দর বেড়েছে। কমেছে ৭১টির। অপরিবর্তিত থাকে ২৮টির দর। সিএসসিএক্স সূচক প্রায় ৩৯ পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল। সিএসপিআই সূচক বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট।
গ্রামীণ ফোনের পরে লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ডাচ বাংলা ব্যাংক, লোভেলো, মেঘনা পেট্রোলিয়ম। দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে বসুন্ধরা পেপার, এসপি সিরামিকস, কাট্টলি টেক্সটাইল, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স, ফাস ফাইন্যান্স, এস আলম কোল্ড রোল্ড।
Comments