ডিএসইতে পাঁচদিনে সূচক কমেছে ৭৬ পয়েন্ট

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে পতন অব্যাহত গতিতে চলছেই। এই পাঁচ দিনে সূচকের পতন হয়েছে ৭৬ পয়েন্ট। আজ লেনদেনের শুরুতেই সূচক নেমে যায়। এরপর সূচকের গতিতে অস্থিরতা দেখা যায়। বারবার ওঠানামা করে শেষ পর্যন্ত প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৪ পয়েন্ট নেতিবাচক থাকে। ডিএসইএস সূচক ৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট ও ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৬৭ পয়েন্ট নেতিবাচক থাকে। লেনদেন হয় ৩১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ২০৬টির, অপরিবর্তিত থাকে ৬৫টির দর। আজি ডিএসইএর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনে বস্ত্রখাত লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। এ খাতে ৪৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এরপরের অবস্থানগুলোতে ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং ব্যাংক খাত। সূচকে প্রভাব বিস্তারকারী বিএটিবিসি, জিপি, এমজেএল বিডি, পাওয়ার গ্রিড, ইউনিলিভার এর মতো বড় কোম্পানির দরবৃদ্ধিও সূচকের উত্থান ঘটাতে পারেনি।

সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে খান ব্রাদার্স পিপি উভেন তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। এডিএন টেলিকমের সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ব্রাক ব্যাংকের সোয়া সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়। ক্রেডিট রেটিংয়ে দেশসেরা হওয়ায় ব্যাংকটির লেনদেন বেড়েছে। এরপরের অবস্থানগুলোতে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এশিয়াটিক ল্যাব, এমজেএলবিডি, ফারইস্ট নি্টিং এন্ড ডায়িং, মালেক স্পিনিং, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস।

৯ দশমিক ৮০ শতাংশ দর বেড়ে হাক্কানি পাল্প দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। কোম্পানিটি দুর্বল বি ক্যাটাগরির। সিএসইতেও দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। এরপরে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল অ্যাগ্রো ডেনিম, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ডস, মীর আখতার হোসেন, এমজেএল বিডি। ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে প্রিমিয়ার সিমেন্ট। এরপরের অবস্থানগুলোতে ছিল ইন্ট্রাকো, এসপি সিরামিকস, এডিএস টেলিকম।

অপর শেয়ারবাজার চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে। সিএসসিএক্স সূচক ২৯ পয়েন্ট, সিএসপিআই সূচক ৪৩ পয়েন্ট নেতিবাচক ছিল। ১৯১ কোম্পানির মধ্যে ৬৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৭টির। অপরিবর্তিত থাকে ২৫টির দর। লেনদেন হয় ৪ কোটি ১ লাখ টাকা। এক কোটি টাকা লেনদেন হয়ে লোভেলো কোম্পানি দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। এরপরের অবস্থানগুলোতে ছিল কহিনুর, বীকন ফার্মা, রবি ও আইএফআইসি ব্যাংক।

দরবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসে আজিজ পাইপস, সাফকো স্পিনিং, ডেল্টা স্পিনিং, মীর আকতারর। দরপতনে ছিল এডিএন টেলিকম, ইন্ট্রাকো , বীকন ফার্মা, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আমান ফিড।