ডিএসইতে ব্যাপক পতন হলেও সিএসইতে বড় লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস এবং নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে ব্যাপক পতনের কবলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই)। সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেন ও শেয়ার দরেও পতন হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবগুলো সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। সেইসাথে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৯৮টির দর বেড়েছে। কমেছে ২২৯টির। অপরিবর্তিত ছিল ৭১টির দর। লেনদেন হয় ৩১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ১৩ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার এক লাখ ২ হাজার ৮৩৭ বার হাতবদল হয়। আজ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১ কোটি টাকায়। লেনদেনের শুরুতেই সূচকের পতন শুরু হয়। ২০ মিনিটের মাথায় সূচক একবার ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত সূচকের পতন অব্যাহত থাকে। ডিএসইএক্স সূচক সাড়ে ১৮ পয়েন্ট, ডিএসইএস ও ডিএস৩০ সূচক কমে ১০ পয়েন্ট করে।
খাতভিত্তিক লেনদেনে আজও ব্যাংক খাতের প্রাধান্য দেখা যায়। এ খাতে লেনদেন হয় ৮৩ কোটি টাকা। আজ ৬৪ শতাংশ ব্যাংক কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য খাতে ব্যাপক দরপতন হয়। ক্ষুদ্র খাতগুলো প্রায় শতভাগ দরপতনে ছিল।
সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে টেলিযোগাযোগ খাতের রবি। শেয়ারটির ৪০ পয়সা দরপতন হয়। প্রায় ১১ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতনে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১২ কোম্পানির মধ্যে ৮টি ছিল ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে সিটি, ওয়ান, পুবালী, ইসলামি, ব্রাক, উত্তরা, এনআরবি এবং যমুনা ব্যাংক। এরমধ্যে যমুনা ছাড়া সব ব্যাংকের দরই ইতিবাচক ছিল।
প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে পুবালী ও ওয়ান ব্যাংক। এরপরের অবস্থানগুলোতে ছিল এস আলম কোল্ড রোলড স্টিল, ডাচ ব্যংলা ব্যাংক, ফাইন ফুডস, এবি ব্যাংক, সোনারগাঁও টেক্সটাইল।
দরপতনে ছিল প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, উসমানিয়া গ্লাস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৯ পয়েন্ট, সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। বেশিরভাগ শেয়ারদর কমলেও লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি টাকা। সিএসইতে ১৯৫ কোম্পানির মধ্যে ৭৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির দর। জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়ম এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের স্কয়ারফার্মা লেনদেনে একক আধিপত্য দেখায়। মেঘনা পেট্রোলিয়মের ৫১ কোটি টাকা এবং স্কয়ার ফার্মার ৪৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ।এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন, গ্রামীণ ফোন, রবি, টেকনো ড্রাগ, বিএটিবিসি।
১০ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে রূপালী ব্যাংক। এরপরের অবস্থানগুলোতে ছিল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এস আলম কোল্ড রোলড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। দরপতনে ছিল প্রাইম টেক্স, রিংশাইন, জনতা ইন্স্যুরেন্স, এসকে ট্রিমস, আরএসআরএম স্টিল।