বাজেট ঘিরে নতুন প্রত্যাশায় সূচক ইতিবাচক

টানা ছয় কর্মদিবস পতনের পর গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। আজ রোববার সপ্তাহের প্রথমদিনেও সেই গতি অব্যাহত ছিল। যদিও লেনদেনের হার খুব কম ছিল।
বাজার সংশ্লিষ্টদের সম্পূর্ণ মনোযোগ এখন আসন্ন জাতীয় বাজেটের দিকে। আগামীকাল ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা থাকতে পারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হতে পারে-
কর্পোরেট করের ব্যবধান বৃদ্ধি: তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট করের ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে, যা কোম্পানিগুলোকে বাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করবে।
অগ্রিম আয়কর হ্রাস: শেয়ার লেনদেনের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোর প্রস্তাব ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীদের করের বোঝা কমাবে এবং লেনদেন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হ্রাস: মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কর্পোরেট কর কমানোর প্রস্তাব তাদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াবে এবং বাজারে মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা জোরদার করবে।
বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি হ্রাস করার উদ্যোগগুলোও বাজারের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। আজ ডিএসই'র প্রধান সূচক সাড়ে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শেষ হয়। এই উত্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক নতুন আশাবাদ তৈরি করে, বিশেষ করে আগামীকাল সোমবার (০২ জুন) আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশের আগে।
আজ লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ার কেনার প্রবণতা দেখা যায়। প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের দাম ইতিবাচক থাকায় কেনার চাপ বোঝা যায়। তবে সূচক বাড়লেও এদিন লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কম হয়েছে। লেনদেন কম হওয়া সত্ত্বেও সূচকের বৃদ্ধি অনেক সময় বৃহৎ মূলধনি (ব্লু-চিপ) শেয়ারের উত্থানের কারণে ঘটে থাকে।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৬৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ৬.৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। জিপি, ওয়ালটন, বিএটিবিসি, ব্রাক ব্যাংক সূচকের উত্থানে সহায়ক হয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনে ৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে ব্যাংক খাত শীর্ষে অবস্থান করে। তবে প্রায় সব খাতেই ছিল দরবৃদ্ধির প্রবণতা।
আজ ডিএসইতে ৪০২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২০৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১২টির এবং ৮৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
ডিএসইতে আজ ২৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ২৪৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আজ ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন সিএসইতে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। লেনদেন হওয়া ১৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ৬৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৭টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৪.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১১৬ পয়েন্টে।
Comments