ফেনীতে তিন খুনের ঘটনায় দুই আসামির স্বীকারোক্তি

ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫

10ফিল্মি স্টাইলে গুলি করতে করতে সামনে এগিয়ে যান স্বপন চৌধুরী। সেই সঙ্গে  চলে একটানা বোমার বিস্ফোরণ। সঙ্গে ছিল ৪০ থেকে ৫০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। তারাও ফাঁকা গুলি করতে করতে সামনে এগিয়ে যায় কমান্ডো স্টাইলে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফেনী শহরের মহিপাল চৌধুরী বাড়ির পাশে মধ্যম চাঁড়িপুরে এলাহী বক্স কলোনিতে সংঘঠিত ঘটনার আদ্যোপান্ত আদালতে এভাবে বর্ণনা দেয় গ্রেপ্তারকৃত এজাহারনামীয় আসামি ইমরান হোসেন ও আরিফুল ইসলাম। তারা দুজনই ওই ঘটনায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। গতকাল সোমবার বিকেলে তাদের জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম শারমিন জাহানের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ তথ্য জানায় তারা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ফেনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান জানান, গত শনিবার দুপুরে মহিপাল চৌধুরী বাড়ির স্বপন চৌধুরীর ঘর থেকে একটি শটগান ও ২৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রটি উদ্ধারের সময় স্বপন চৌধুরীর লাইসেন্সকৃত শটগানটিতে মাটি মাখা ছিল। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া গুলি ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলির খোসার পয়েন্টে মিল পাওয়া যায়।  অস্ত্রটি ২৪ ডিসেম্বরের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। তবু অধিক তদন্তের স্বার্থে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্রটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। বিারাধপূর্ণ জমিতে পুলিশের পাহারা ফেনীর মহিপালের মধ্যম চাঁড়িপুরের সেই বিরোধপূর্ণ জমিতে রবিবার থেকে পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে। কিন্তু এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশ কয়েকটি পরিবার বাসা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। মামলার বাদী, নিহত মাইন উদ্দিনের ছেলে মোমিনুল হক নয়নকেও গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এলাকায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তিনি গা ঢাকা দিয়ে আছে বলে জানায় এলাকাবাসী। প্রসঙ্গত, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২৪ ডিসেম্বর রাতে ফেনীর মহিপালের মধ্যম চাঁড়িপুরের এলাহী বক্স কলোনিতে সন্ত্রাসীরা গুলি করে শিশুসহ তিনজনকে হত্যা করে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.