ভোট উৎসব : শঙ্কা, ইসির অভয়

ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫

01পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে সোমবার রাত ১২টার পর শেষ হয়েছে সবধরনের প্রচার কাজ।

আগামীকাল বুধবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ করা হবে।  এজন্য আয়োজনও প্রায় সম্পন্ন।

নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও আনসারসহ লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শেষ মুহূর্তের নির্দেশনায়  ভোট গ্রহণ শেষে দ্রুত ফল প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে ফুলপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মেয়র পদে ৯৪৩ জনসহ মোট ১২ হাজার প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে প্রায় ৩ হাজার ৫৫৫টি কেন্দ্রে ৬১ হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভোটে অভয় দিলেন শাহনেওয়াজ : প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ভোটার ও প্রার্থীদের অভয় দিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। নির্বাচনে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। মঙ্গলবার ব্যালট পেপার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। এখন পর্যন্ত মাঠের যে খবর পেয়েছি তাতে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী- নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। অনিয়ম রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই- আমরা পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছি। আপনারা নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, তাতে কোনো সমস্যা হবে না। নির্বাচনে সব ধরনের অনিয়ম রোধে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক জঙ্গি হুমকির বিষয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, এ বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আমাদের সব ধরনের নির্দেশনা রয়েছে, যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তারা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে। যেখানে তারা মনে করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশি প্রয়োজন, তারা সেখানে বাড়াবে। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি থাকবে না। দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি-যারা দায়িত্ব অবহেলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অব্যবস্থপনা বা অনিময় হলে যেন তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি দল যারা থাকবে তারা অভিযোগ করবে- এটা একটা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা যেগুলো বাস্তবসম্মত পেয়েছি- সেগুলোর ব্যবস্থা নিয়েছি। যারাই অভিযোগ করছে আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখেছি। যেগুলো বাস্তব সেগুলো ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করছি না।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটের ঠিক দুদিন আগে অধিকাংশ রিটার্নিং কর্মকর্তা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিজিবি মোতায়েনের চাহিদাপত্র দেওয়ায় ২২৯ পৌরসভায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাকি ছয় উপকূলীয় পৌরসভায় কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।

নির্বাচন উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিজিবি, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড ও পুলিশ। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া, ফল ঘোষণা ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নিরাপত্তার চাদরে পৌর এলাকা : নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে প্রায় লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকছে।

এরমধ্যে ভোটের দিন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ নির্বাচনে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা নির্বাচনী মাঠে থাকছে।

ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও ব্যাটালিয়ন আনসার সার্বক্ষণিক থাকছে। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকছেন। এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্বে ও অপরাধ দেখভালে মাঠে থাকছে সর্বমোট ১হাজার ২০৪ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

শঙ্কা প্রার্থীদের : নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অধিকাংশ বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রায় প্রতিটি পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি সাভার পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন খান নঈম পৌর নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

দ্রুত ফল পাঠাতে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা : পৌর নির্বাচন ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে দ্রুত ফল পাঠাতে রিটার্নিং অফিসারদের বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার বিকেলে এ বিশেষ নির্দেশনা সকল রিটার্নিং অফিসারকে পাঠানো হয়েছে বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে গত রোববার ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে বিষয়টি কড়া নজরদারিতে রাখতে রিটার্নিং অফিসারদের বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা ও পরবর্তী সময়ে যাতে সহিংসতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার জঙ্গি হামলার আশঙ্কার ভিত্তিতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোট প্রদান ও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে বহিরাগতদের সমাগম বন্ধে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করার জন্যে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ভোটার ও ভোটকেন্দ্র : এ নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে। এসব ভোট কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭১টি। এ হিসাবে প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে ৩ হাজার ৫৫৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতি বুথে ১ জন করে ২১ হাজার ৭১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতি বুথে ২ জন করে ৪২ হাজার ১৪২ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকছেন  ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন কর্মকর্তা। এতে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬০ জন।

ইতোমধ্যে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ব্যালট পেপার, সিল, ফরম প্যাকেট ও অন্যান্য নির্বাচন সামগ্রী নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেছে। এসব পৌরসভায় তিন হাজার ৫৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ১৮৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি।

নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি : নির্বাচনের কারণে ২৩৪ পৌরসভায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে নির্বাচনী এলাকায় সব অফিস বন্ধ থাকবে।

বহিরাগতদের অবস্থান ও বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ : বৈধ লাইসেন্সধারীদের সবধরণের অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী-ক্যাডারদের গ্রেফতার ও ভোটের পরিবেশ নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও পুলিশকে বলা হয়েছে।

সোমবার রাত ১২ টার মধ্যেই বহিরাগতদের (যারা ভোটার বা বাসিন্দা নন) নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ভোটের দুই দিন আগে থেকে পরবর্তী আরো চার দিন পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা যাতে অস্ত্রসহ চলাচল করতে না পারেন সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

৪৮ ঘন্টা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : নির্বাচনী এলাকায় ভোটের আগের রাত অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে মোট ৪৮ ঘণ্টা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২ টা (দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

ইতোমধ্যে এ নির্দেশনা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২ টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ভোর ছয় টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসি ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারী, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পন্য সরবরাহ ও অন্যান্য প্রয়োজনে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে

নির্বাচনে যত প্রার্থী : ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনে ২০টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯৪৫ প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রয়েছে ১১ হাজারের বেশি।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার ভোটে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিায় নৌকা-ধানের শীষ নিয়ে ২২২ প্রার্থী। নারী মেয়র প্রার্থী ২০ জন ভোটে রয়েছেন। ২০টি দল অংশ নিচ্ছে, এর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ২৮৮ জন। অবশ্য ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ২২৮ জন ও বিএনপির ২২৫ জন ও জাতীয় পার্টির ৭৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বি রয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এ দুই প্রধান দল কয়েকটি পৌরসভায় মুখোমুখি না থাকলেও শরিকদের সঙ্গে লড়বে। এতে অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ছাড়া এলডিপি একজন, জেপি ছয় জন, সিপিবি চার, ন্যাপ একজন, ওয়ার্কার্স পার্টি ৮ জন, বিকল্পধারা ১ জন, জাসদ ২১ জন, বাসদ একজন, তরিকত ফেডারেশন ১ জন, এনপিপি ১৭ জন, পিডিপি একজন, ইসলামী ঐক্যজোট ১ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৫৭ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩ জন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ১ জন, খেলাফত মজলিস-এর একজন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রয়েছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪১ : মেয়র পদে সাত জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.