সমগ্র দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে : প্রধানমন্ত্রী

নভেম্বর ১৫, ২০১৫

07প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে সমগ্র দেশকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অধীনে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তিনি বলেন, আমরা সড়ক ও নৌপথের পাশাপাশি রেলপথে আরো বেশী পণ্য পরিবহন করতে চাই। তাই, আমরা রেল খাতের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিচ্ছি। সফররত এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন আজ বিকেলে এখানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসবভন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নদী খননের লক্ষ্যে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহনের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে অনেক নদ-নদী রয়েছে। আমরা স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রেখে এসব নদীর ড্রেজিং করতে চাই। আমরা ড্রেজিং করার মাধ্যমে ভূমিও উদ্ধার করতে চাই। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতির উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন ঘটার ফলে জনগণের চাহিদার ধরণ পাল্টে গেছে। তিনি বলেন, আগে জনগণ খাদ্য চাইতো, এখন তারা বিদ্যুৎ চায়। অবকাঠামো সুবিধার আরো উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা আরো ভাল হলে দেশ থেকে আরো বেশী খাদ্য শস্য, মাছ ও শাক-সব্জি রপ্তানী করা যেতো।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার গ্রামীন অর্থনীতিতে আরো গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, হাঁস-মুরগী ও দুগ্ধ উত্পাদন শিল্পের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পলস্নী এলাকার আরো বেশী লোককে সম্পৃক্ত করতে চায়। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের অংশগ্রহণে চার জাতি বিবিআইএন সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনাকালে শেখ হাসিনা বলেন, এটি আমার একটি উদ্যোগ যা এখন বাসত্মবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটির অধিক সম্ভাবনা রয়েছে। এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।

এআইআইবি প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তিনি আশ্বাস দেন যে, তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, পরিবহন ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বড় ধরণের সহায়তা প্রদান করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে এই ব্যাংক থেকে সহায়তা লাভকারী প্রথম দেশ। আমরা বাংলাদেশের জন্য অধিক সাড়াদানকারী হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি। এই ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সাশ্রয়ী ও বাস্তবমুখী হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জিন লিকুন বলেন, তিনি মহান নেতার একজন একান্ত অনুরাগী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সেৌভাগ্য হচ্ছে যে বঙ্গবন্ধু ও আপনার মতো নেতা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আনত্মর্জাতিক বিষয়ক উপদষ্টো ড. গওহর রিজভি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং সিনিয়র ইআরডি সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.