হজ ট্র্যাজেডি: ৪০ বছরে চার হাজার মৃত্যু
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫ চল্লিশ বছরের ইতিহাসে হজে গিয়ে দুর্ঘটনা ও রোগে ভুগে মারা গেছেন প্রায় চার হাজার মানুষ। সর্বশেষ যোগ হল পদদলিত হয়ে নিহত সাত শতাধিক মানুষের নাম।
সৌদি আরবে কোরবানির ঈদের দিন বৃহস্পতিবার হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ সময়ে পদপিষ্ট এইসাত শতাধিক হাজি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮৬৩ জন। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্মেলন হজ। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ মুসলমান সমবেত হন মক্কায়। আর বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর যোগ দেন লাখ খানেক মুসল্লি।
মক্কায় হজের সময় এর আগের দুর্ঘটনাটি মাত্র ১২ দিন আগের। এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদ আল-হারামে ক্রেইন উল্টে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন প্রায় ২৩৮ জন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে হজের সময় ১৩ আফগান হাজির সঙ্গে অন্তত আরও ডজনখানেক হাজি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
২০০৬ সালে মক্কার কাবা শরিফের অদূরে বহুতল আল-গাজা হোটেল ভেঙে পড়ে নিহত হন ৭৬ জন এবং আহত হন আরও ৬৪ জন।
একই বছর মিনায় শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান আরও ৩৪৫ জন।
২০০৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আল-জামারাতে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার সময় পদদলিত হয়ে মারা যান ২৪৪ হাজি।
২০০১ সালের ৫ মার্চ ৩৫ জন হাজি মারা যান ওই আল-জামারাতে একই ধরনের ঘটনায়।
১৯৯৮ সালের ৯ এপ্রিল ১৮০ জন মারা যান হুড়োহুড়িতে হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে। ওই পদদলিত হওয়ার ঘটনাটিও ঘটে আল-জামারাতে, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময়।
১৯৯৭ সালের ১৫ এপ্রিল মিনায় তাবুতে আগুন লেগে পুড়ে মারা যান ৩৪০ জন। এ ঘটনায় আহত হন আরও দেড় হাজার।
১৯৯৪ সালের ২৩ মে ২৭০ জন মারা যান আল-জামারাতে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইন্দোনেশীয়।