সৃজিত-জয়া বন্ধুত্বের পরিণতি …

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫

joyকলকাতা: এরকম নয় যে পরিচালক অভিনেত্রীকে চেনেন না৷ ছবির প্রয়োজনে ফোন করে বললেন, ‘নমস্কার আমি সৃজিত মুখার্জি বলছি৷ আপনাকে একটা ছবিতে কাস্ট করতে চাই…’ এক্ষেত্রে গল্পটা একটু অন্যরকম৷ পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জয়া আহসানের বন্ধুত্ব চোখে পড়েছিল বছর দুই আগে, সিঙ্গাপুরের এক ফেস্টিভ্যাল থেকেই৷ আর কিছু বন্ধুত্বে দু’জন মানুষের মুখ দেখেই বলে দেওয়া যায়, পরিণতি কী হবে৷ সেটা আন্দাজ করেই টলিউডে অনেকে বলেছিলেন-এরপর তো সৃজিতের ছবিতে জয়া৷

‘রাজকাহিনী’ সেই ছবি, যেখানে দু’জন বন্ধু প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করলেন৷ যেখানে ছবির অন্য অনেক নায়িকার সঙ্গেই সৃজিতের এটা প্রথম ভালো করে পরিচয়৷ ‘রাজকাহিনী’ আপনার বন্ধুর ছবি৷ এবং সেখানে আপনিও রয়েছেন? জয়া বলছেন, ‘সৃজিত আমার ভীষণ ভালো বন্ধু৷ আর আমি ওকে ভালো করে চিনি বলেই জানতাম, ও আমায় যে চরিত্র অফার করবে, তাতে আমি না বলতে পারব না৷’

এর আগে তো আপনি ‘আবর্ত’ ছবিতেও কাজ করেছেন৷ তার থেকে ‘রাজকাহিনী’ কোথায় আলাদা? জয়া বলছেন, ‘এই ছবিতে আমি যে চরিত্র করেছি, সেটা আমার চেনা চরিত্র নয়৷ সেটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল৷ কেমন ধরনের চরিত্র সেটা দর্শক বুঝতে পারবেন যখন ছবিটা দেখবেন৷ আর একজন অভিনেত্রীর মধ্যে থেকে সৃজিত যেভাবে অভিনয় বের করে আনতে পারে, তা দেখে আমি মুগ্ধ৷’

একই ছবিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রান্ত দুই অভিনেত্রী৷ ভারতে যেমন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আপনিও তো বাংলাদেশে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন৷ সেখানে মনে হলো না ঋতুপর্ণার চরিত্রকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন সৃজিত?

জয়া প্রশ্ন শুনে হেসে বলছেন, ‘মনে হলো না৷ কারণ ঋতুপর্ণাকে দেখে মনে হয়, এখনও আমার অনেক কিছুই শেখার বাকি৷ ঋতুপর্ণার বাংলাদেশের বেশ কিছু কাজ আমি দেখেছি৷ কিন্ত্ত এবার একসঙ্গে কাজ করার সময় আরও মুগ্ধ হয়ে দেখলাম৷ অভিনয় করার সময় ঋতুপর্ণা একেবারে ওই চরিত্রটাই হয়ে যান৷’

‘রাজকাহিনী ‘ টিম তো আপনার পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছে? জয়া বলছেন, ‘একদমই৷ দুর্গাপুজা আসছে, সেটা নিয়েও বেশ একটা আনন্দ অনুভব করছি৷ ‘রাজকাহিনী ‘-তে আমার কাজ এখানে সকলের কেমন লাগবে, সেটাও জানার অপেক্ষায় আছি৷ আর শেষ পর্যন্ত যে আমার আর সৃজিতের একসঙ্গে কাজ হলো, সে ব্যাপারে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছি৷’- ওয়েবসাইট

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.