সোয়ান শ্রমিক আন্দোলন- বেতন-বোনাস পরিশোধের তারিখ ঘোষণার দাবি
জুলাই ২৭, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: টানা ১৬ দিনের অবস্থান কর্মসূচিতে সমুদয় ককেয়া পাওনা পরিশোদের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন সোয়ান গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
সোবার বৃষ্টিতে ভিজে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদান; মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বে-আইনীভাবে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন।
গার্গমেন্টস শ্রমিক ট্রেডি ইউনিয়ন কেন্দ্রের ব্যানারে গত ১২ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সোমবার সকালে জাতীয় পেসক্লাবের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি শ্রমিক নেতা সাদেকুর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম বাবুল, জয়নাল আবেদিন, মোহাম্মদ শাজাহান, নুরুল ইসলাম, কাজী মোতাহার হোসেন, সোয়ান কারখানার শ্রমিক নেতা শেখ ফরিদ, মোর্শেদা আক্তার, জাকির হোসেন, মাকসুদা বেগম, মিনতি রাণী প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে শ্রমিক নেতা সাদেকুর রহমান শামীম বলেন, সোয়ান গার্মেন্টের সংকট সমাধানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির আগামীকালের সভা থেকে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের তারিখ ও স্থান ঘোষণা করতে হবে। একই সাথে দীর্ঘ সময় ধরে পাওনা বঞ্চিত শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা একত্রে পরিশোধের ঘোষণা দিতে হবে।
তিনি বলেন, এই অসহায় শ্রমিকরা ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গত ১২ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এই সহস্রাধিক শ্রমিক গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বে লাগাতার অবস্থান আন্দোলন পরিচালনা করছে। সরকার কিংবা মালিকপক্ষ যথা সময়ে পদক্ষেপ নিলে এই অনাহারি শ্রমিকদের রাস্তায় ঈদ করতে হতোনা।
তিনি আরো বলেন, কঠোর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করতে গার্মেন্ট শ্রমিকরা শিখেছে। আগামীকালের সভা থেকে সংকট সমাধানের সুনির্দ্দিষ্ট প্রস্তাব না এলে আমরা বুঝবো সরকার এবং মালিকপক্ষের এখনো হুঁশ ফেরেনি। তাদের কর্তব্য সম্পর্কে উপলব্ধি তৈরি করতে যতো কঠোর হতে হয়, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সেই পথ অনুসরণ করবে। তিনি শ্রমিকদের মনোবল এখন আরো উচ্চতায় পৌছেছে উল্লেখ্য করে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা ঘরে ফিরে যাবে না।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৭, ২০১৫।