আনোয়ার, মিন্টু, আমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

জুলাই ২৭, ২০১৫

MK-Anwar+Mintu+Amanঢাকা জার্নাল: নাশকতার ৫২ মামলায় বিএনপির তিন নেতাকে হাই কোর্টের দেওয়া আগাম জামিন বাতিল করে তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

এই তিন নেতা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান।

তবে চার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য তরিকুল ইসলামকে হাই কোর্টের দেওয়া আগাম জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আপিল বিভাগের সায় পায়নি। এর ফলে তরিকুলের জামিন বহাল থাকল বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

বিএনপির এই চার নেতার পক্ষে আপিল আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সগীর হোসেন লিয়ন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

গত ৯ জুলাই বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ বিএনপির এই চার নেতাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে আমান গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে পল্টন, শাহবাগ, মিরপুর ও মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানার ৪২টি মামলায় আগাম জামিন পান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার জামিন পান নয়টি মামলায়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টন থানায় পাঁচটি, যাত্রীবাড়ী ও খিলগাঁও থানার একটি এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার দুটি মামলা রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু আগাম জামিন পান পল্টন থানার এক মামলায়। আর তরিকুল ইসলাম যশোরের চার মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জামিনের আদেশ স্থগিতের আবেদন করলে গত সপ্তাহে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২৭ জুলাই দিন ঠিক করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

আদেশের পর মুরাদ রেজা বলেন, “ঘটনাগুলো ঘটেছে জানুয়ারি মাসে। আর তারা আগাম জামিন চেয়েছেন জুলাই মাসে। এ কারণে আগাম জামিনের আবেদন যৌক্তিকতা হারিয়েছে বিবেচনা করে হাই কার্টের জামিন আপিল বিভাগ বাতিল করে দিয়েছে।”

বিএনপির তিন নেতা এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করলে বিচারিক আদালত তাদের জামিন আবেদন বিবেচনা করতে পারে বলেও আপিল বেঞ্চের আদেশে বলা হয়েছে।

মুরাদ রেজা বলেন, “তরিকুল ইসলামের আবেদনে বিশেষ কিছু যুক্তি ছিল। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ তার জামিন স্থগিতের আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে।”

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৭, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.