সারাবছর পেঁয়াজ উৎপাদনের পরামর্শ বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের

নভেম্বর ৭, ২০১৩
image_6410.onion-sm20130721232139ঢাকা জার্নাল: পেঁয়াজের সংকট কাটাতে সারাবছরই পেঁয়াজ উতপদনের পরমর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রণালয়।  কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি হলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুশিয়ার করে মন্ত্রণালয়। 
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার বণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ এ পরামর্শ দেন।
আমদানি কারক, পাইকারী ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের  সঙ্গে মতবিনিময়কালে সচিব বলেন, দেশের চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারা বছর পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পরামর্শ দেওয়া হবে।
সভায় মুরিকাঁটা পেঁয়াজ যাতে খাবার পেঁয়াজ হিসাবে বাজারে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন বাণিজ্য সচিব।
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুধু ভারতের উপর নির্ভরশীল না থেকে পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানী করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার জন্য মায়ানমার এর সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ-মায়ানমার আগামী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়ন সভায় আলোচনা করা হবে।
নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে আরো এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, এ সময়ে বাজারে যাতে পেঁয়াজের সংকট না হয় বা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি না হয় সে বিষয়ে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয় প্রমানিত হলে দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় ব্যবসায়অরা জানান, পেঁয়াজ আমদানি এবং বাজারজাত করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেশি হবার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মায়ানমার, চীন ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ভারত থেকে নতুন পেঁয়াজ বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলো পেঁয়াজ আমদানি কারকদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এ মুর্তজা রেজা চৌধুরীর, অতিরিক্ত সচিব(আমদানি) মনোজ কুমার রায়, অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং টিসিবি এর চেয়ারম্যান ব্রি.জে. সারওয়ার জাহান তালুকদার, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক  এম এ সবুর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংয়স্থার প্রতিনিধি, এছাড়া পেঁয়াজ আমদানি কারক সমিতি, পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ি সমিতি এবং শ্যামবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং আমদানী কারকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ৭, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.