লংমার্চ: যেখানেই বিশৃংখলা, সেখানেই ব্যবস্থা
এপ্রিল ৪, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ও সমাবেশ নিবিড়ভাবে, যতœ সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা যাবে সেখানেই মূহূর্তেই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে তাদের (বিশৃংখলাকারিদের) প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এর আগে কয়েকজন মন্ত্রী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠককরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হেফাজতে ইসলামের মোড়কে বিএনপি জামায়াতের বিপথগামী নেতারা আশ্রয় পেতে চাচ্ছেন। এরাই জনস্বার্থ লঙ্ঘনের অপচেষ্টা চালাতে পারেন, প্রশাসনের কাছে তথ্য রয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ আশংকা থেকেই তাদের সমাবেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি সংগঠনকে জানানো হয়েছে, যাতে করে তাদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের লোক ঢুকে নাশকতা চালাতে না পারে। আর যদি এমনটা হয় তাহলে তাদের সতর্ক থাকতে হবে, এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসুচির প্রতিবাদে দেশের কয়েকটি সংগঠনের হরতালের নৈতিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা আইনী বিষয়গুলো দেখি নৈতিকতা নয়।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠিকে মানুষ খুন করার লাইসেন্স দেয়া হয়নি। আপনারা জেনেছেন, সারা দেশে ৭৭জন মানুষ মারা হয়েছে। এখানে পুলিশ সদস্য রয়েছে ১০ জন। বাকি ৬৭ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছে। এরা মারা গেছে জামায়াত শিবিরের গুলিতে, পুলিশের গুলিতে নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব জাফর উল্লাহ খান প্রধান মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। বিক্ষোভ সৃষ্টি মূলক কথা বলেছেন, যারা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি গভীরভাবে বিবেচনা করছি।”
বৈঠকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানানা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে ৬ মার্চ হোফাজতে ইসলামীর লংমার্চ প্রতিরোধ ও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ ২৭ সংগঠন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত টানা হরতাল দেয়। এই হরতাল প্রত্যাহার করার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৪, ২০১৩