কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়টা পার করছেন গার্দিওলা
টানা চার ম্যাচ হারা আর এমন কি! কিন্তু কোচের নাম যখন পেপ গার্দিওলা, তখন সেটা ঘটাও অসম্ভব হয়ে যায়। ব্রাইটনে ম্যানচেস্টার সিটির আতিথ্য নেয়ার আগে তিন ক্লাবে প্রায় ১২ বছরের ক্যারিয়ারে সেই অসম্ভব কাজটা বলবৎই রাখেন স্প্যানিশ কোচ। ব্রাইটনের কাছে হেরে গড়লেন লজ্জার নজির।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার (৯ নভেম্বর) এগিয়ে গিয়েও ব্রাইটনের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আগের তিন ম্যাচে তার দল হেরেছে টটেনহ্যাম, বোর্নেমাউথ ও স্পোর্টিং সিপির বিপক্ষে। এরমধ্যে টটেনহ্যাম ম্যাচটি কারাবো কাপের, স্পোর্টিংয়েরটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, বোর্নেমাউথেরটি লিগে। ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ারে টানা চার হারের এমন দিন পেপকে আর দেখতি হয়নি, এটাই প্রথম।
ম্যাচটা কেবল গার্দিওলার জন্য লজ্জার নয়, এমনকি সিটির জন্যও। ম্যানচেস্টারের এই জায়ান্ট ক্লাবটি গত ১৮ বছরে এবারই প্রথম টানা চার ম্যাচ হারল। আগের নজিরটি ২০০৬ সালে, তখন কোচ ছিলেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট পিয়ার্স। ওই মৌসুমে কোনো শিরোপা জিততে পারেনি তারা। অবশ্য ওই সময়টায় দুর্দিন চলছিল দলে।
টানা চার হারের পর হয়তো মনোবল কিছুটা ভেঙে গেছে গার্দিওলার। নাহলে কি আর বলতেন, 'সাত মৌসুমে ৬টা প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর বোধহয় এক বছর অন্য কারো জেতা উচিত। সূচি অনেক কঠিন হয়ে গেছে (জেতার জন্য)। আবার জেতার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে।'
জয়ের জন্য মরিয়া ম্যানসিটি ফালমার স্টেডিয়ামে শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল। প্রায় নিজেদের অর্ধ থেকে ৩-৪ জন ফুটবলারের মাঝে তৈরি হওয়া 'সরু পথ' দিয়ে বল বাড়িয়ে দেন মাতেও কোভাসিচ। পথের মুখ থেকে বল নিয়ে দৌড়ে ব্রাইটনের ডিফেন্ডারদের ছাড়িয়ে যান আরলিং হল্যান্ড। গোলরক্ষকের কাছে বাধা পেয়েও বল জালে ঢুকতে যাচ্ছিল, ফের শট নিয়ে গোল নিশ্চিত করেন নরওয়েজিয়ান তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ৩০ মিনিটের খেলায় পূর্ণ ৩ পয়েন্ট আদায় করে নেয় ব্রাইটন। ৭৮ মিনিটে ম্যানসিটির ডি বক্সে বল নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে 'কাড়াকাড়ি' শুরু হয়। জটলার থেকে বল বের করে গোল করেন জোয়াও পেদ্রো। ৫ মিনিট বাদে পরের গোলটি করেন আগস্টে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ব্রাইটনে যোগ দেয়া ম্যাট ও'রিলে। এর আগে ইংল্যান্ডের আরও তিনটি ক্লাবের হয়ে খেললেও প্রিমিয়ার লিগে এটা ছিল তার অভিষেক ম্যাচ।
ম্যানসিটির হারের দিন অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে আর্না স্লটের লিভারপুল। ফলে তাদের সঙ্গে সিটিজেনদের পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৫। ১১ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষ অলরেডরা। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে ব্রাইটন।