উয়েফার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মরিনিও
২০২৩ সালের ইউরোপা লিগের ফাইনালের পর থেকে অন্যান্য কোচদের মতো উয়েফার কাছ থেকে যথাযথ আচরণ পাননি বলে দাবী জানিয়েছেন জোসে মরিনিও। গত মৌসুমে ইউরোপা লিগের ফাইনালে বুদাপেস্টে সেভিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টিতে হতাশাজনক হারের পর রেফারি এন্থনি টেইলরের সঙ্গে অশোভন আচরণের দায়ে ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা রোমার তৎকালীণ কোচ মরিনিওকে টাচলাইন থেকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল।
স্কাই স্পোর্টসে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ সম্পর্কে মরিনিও বলেছেন, 'আমার এমন অনুভূতি হচ্ছে যে ইউরোপে আমি সমস্যায় আছি। যেভাবে আমরা ফাইনালে হেরেছি সেটা আমি এখনো মেনে নিতে পারিনি। আর তখন থেকেই আমার মধ্যে এই ধরনের অনুভূতি হচ্ছে।'
'আমি কোনো ধরনের বিশেষ আচরণ আশা করছি না। কিন্তু আমি শুধুমাত্র সত্যটাই তাদের কাছ থেকে আশা করছি। আমি যদি কোন ধরনের অণ্যায় করে থাকি আমাকে শাস্তি দেয়া হোক। কিন্তু তা না হলে আমাকে শান্তিতে থাকতে দেয়া হোক। কিন্তু পুরো পরিস্থিতি কেমন যেন জটিল হয়ে গেছে। বুদাপেস্টের ফাইনালের পর থেকে কোন কিছুই স্বাভাবিক মনে হচ্ছেনা।'
বর্তমানে ফেনারবাখের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মরিনিও। গত সপ্তাহে ইউরোপা লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রয়ের ম্যাচটিতে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। একটি পেনাল্টির আবেদন করে সফল না হওয়ায় রেফারির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় মরিনিও।
মরিনিও বলেছেন, 'অন্যদের মতই আচরণ আমিও আশা করি। মাঠের লড়াইয়ে আপনি লিওনেল মেসি নাকি একেবারে নতুন খেলোয়াড়, সেটা কোন বিষয় নয়। আইন মেসি কিংবা একজন তরুনের জন্য সমান। কোচদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমনই। আপনি কার্লো আনচেলত্তি নাকি নতুন কোন কোচ সেটা দেখার বিষয় না। আনচেলত্তির সাথে যে ধরনের আচরণ করা হয় একজন তরুণ কোচের জন্যও সেটা প্রযোজ্য। আমিও আমার জন্য এটাই দাবী করছি। কিন্তু সেটা কোথাও পাচ্ছিনা।'
ইউনাইটেডের বিপক্ষে ড্রয়ের পর মরিনিও বলেছিলেন, কোচ হিসেবে তিনি পরবর্তী দায়িত্ব নিতে চান ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবে, যারা উয়েফার প্রতিযোগিতায় নেই। ৬১ বছর বয়সী এই কোচ তার সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেছেন, 'মজা করেছি। রেলিগেশনের সঙ্গে লড়াই করছে এমন দলে আমি কখনোই যোগ দেব না। কখনো না।'
তিনি আরও বুঝিয়ে বলেছেন, 'হতাশ হয়ে পড়ি। অথচ ক্যারিয়ারের হতাশ হওয়ার মতো পর্যায়ে আমি নেই। সব সময় খুশি থাকব, ক্যারিয়ারের এমন পর্যায়ে আছি। কিন্তু এখন ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার খেলায় সব সময়ই হতাশ হতে হয়। তবে আমি রেলিগেশন এড়ানোর লড়াই করব না। এটা বেশি কঠিন। সত্যি বলতে এটা আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন কাজ মনে হয়। শিরোপা জয়ের চেয়ে কঠিন। আবেগের জায়গা থেকেও খুব কঠিন হবে। কারণ এটা এমন কিছু যা জীবনকে পাল্টে ফেলে। কাজটা তাই সাহসীদের জন্য।'