বাহরাইনে বিজয় দিবস ও দেশটির জাতীয় দিবস উদযাপন
বাহরাইনে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস ও বাহরাইনের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাহরাইনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব বাহরাইনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য কার শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী গাড়িগুলো বাংলাদেশের লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা ও বাহরাইনের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত ছিল। প্রবাসে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
আয়োজনটি প্রবাসে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস, স্বাধীনতার চেতনা ও দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হিসেবে ফুটে ওঠে।
১৬ই ডিসেম্বর একদিকে যেমন বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস, অন্যদিকে একই দিনে উদযাপন হয় বাহরাইনের জাতীয় দিবস। এই তাৎপর্যপূর্ণ মিল দুদেশের কূটনৈতিক ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে করেছে আরও দৃঢ়।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব বাহরাইনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য কার শোভাযাত্রা।
'ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ' কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংগঠনটি প্রতিবছরই বিজয় দিবসে এই ব্যতিক্রমী র্যালির আয়োজন করে আসছে।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী গাড়িগুলো বাংলাদেশের লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা ও বাহরাইনের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত ছিল। প্রবাসে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে এই আয়োজন উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব মাহফুজুর রহমান। একই দিনে বাহরাইনের জাতীয় দিবস উদযাপিত হওয়ায় এই আয়োজনটি বাহরাইনী নাগরিকদের কাছেও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
এ বছরের শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ ও বাহরাইনের দুটি বৃহদাকার জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী, যা উপস্থিত দর্শনার্থীদের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। কার শোভাযাত্রাটি বাহরাইনের বুসাইতিন এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে হামাদ টাউনে গিয়ে শেষ হয়।
এই র্যালিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব বাহরাইনের সদস্যদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুরো আয়োজনটি প্রবাসে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস, স্বাধীনতার চেতনা ও দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হিসেবে ফুটে ওঠে।
একই দিনে দুদেশের জাতীয় দিবস পালনের মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের গভীরতা নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে এ দিনটি উদযাপন করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তাৎপর্যপূর্ণ মিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যে অর্থনৈতিক, শ্রমবাজার ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
Comments