ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী
ভেনেজুয়েলায় তথাকথিত মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ক্যারিবীয় সাগরে প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী মনে করা হয়।
মার্কিন যুদ্ধমন্ত্রী পিট হেগসেথ ইতোমধ্যেই 'অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার' শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। ওয়াশিংটনের মতে, ভেনেজুয়েলা মাদক চোরাচালান রোধে যথেষ্ট কাজ করছে না।
৪ হাজারেরও বেশি নাবিক এবং কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান বহনকারী এই ক্যারিয়ারটি ওই অঞ্চলে বিদ্যমান মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে একীভূত হবে। এর আগে কয়েক ধাপে অঞ্চলটিতে সামরিক মোতায়েন করেযহে ট্রামপ প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জেরাল্ড আর. ফোর্ডের সঙ্গে রয়েছে স্ট্রাইক গ্রুপ - ক্যারিয়ার এয়ার উইং এইট, আর্লে বার্ক-ক্লাস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস বেইনব্রিজ, ইউএসএস মাহানের নয়টি স্কোয়াড্রন এবং বিমান প্রতিরক্ষা কমান্ড জাহাজ ইউএসএস উইনস্টন এস. চার্চিল।
এদিকে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ট্রাম্প তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চাইছেন।
আগস্ট মাসে ওয়াশিংটন মাদুরোকে 'ধরিয়ে দেওয়ার জন্য' তথ্য দিলে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। তার বিরুদ্ধে মাদক পাচার এবং অপরাধমূলক গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়। তবে মাদুরো এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বরে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ২১টি মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ এবং আইন বিশেষজ্ঞরা এসব আক্রমণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিছু ইউরোপীয় মিত্র এসব অভিযানের সমালোচনা করেছেন।
তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, ওইসব নৌকায় মাদক বহনের কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি। এই হত্যাগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে।
Comments