বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের আশ্বাসে চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) বর্ধিত গেট পাস ফি প্রত্যাহারের আশ্বাসে চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে তারা এ কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে দিয়ে বন্দরের কার্যক্রমে প্রায় দুই দিনের অচলাবস্থার অবসান হলো। ইতোমধ্যেই বেলা সাড়ে ৩টা থেকে কন্টেইনারবাহী যানবাহন বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
আজ সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, 'সব পক্ষের সাথে সফল আলোচনার পর আমরা নতুন গেট পাস ফি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে প্রবেশ ফি কমানোর সুপারিশ করে চিঠি দেব। সংশোধিত হার চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত পূর্ববর্তী হার বহাল থাকবে।'
এর আগে গেট পাস ফি ৫৭ টাকা থেকে ৩০০% বাড়িয়ে ২৩০ টাকা নির্ধারণের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে ধর্মঘট শুরু করেন পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এছাড়া সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা ৪১ শতাংশ বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।
তাদের কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর। জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক থাকলেও বন্ধ হয়ে যায় পণ্য ডেলিভারি ও সারা দেশে পণ্য পরিবহন। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও, কাস্টমস এজেন্টদের আংশিক কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, এই বিক্ষোভ সপ্তাহব্যাপী অব্যাহত থাকবে। আমাদের কর্মবিরতি বন্দরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমরা এখনও কাস্টমস হাউসে কর আদায় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছি, কিন্তু সরবরাহ প্রক্রিয়ায় নয়। এ সময় তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষকে বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
Comments