সুদানে গৃহযুদ্ধ তৃতীয় বছরে, তীব্র মানবিক সংকট

সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) মধ্যে গৃহযুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে। এতে বিশ্বের অন্যতম গুরুতর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার। আর ক্ষুধা ও রোগে আরও কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে।
দেশটির রাজধানী খার্তুম থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধাসামরিক বাহিনী দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া উত্তর দারফুরের রাজধানী নিকটবর্তী অঞ্চল এল-ফাশার ছাড়া প্রায় সব এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী তাদের অবস্থান শক্ত করছে। সশস্ত্র বাহিনী উত্তর কর্দোফানে কৌশলগত কিছু শহর দখল করেছে, যা সশস্ত্র বাহিনীকে মধ্য রাজধানীতে এগোতে বাধা দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহে এল-ফাশারে আধাসামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দক্ষিণে আধাসামরিক বাহিনী দক্ষিণ কর্দোফান নিয়ন্ত্রণ করছে। সশস্ত্র বাহিনী উত্তরের এল-ওবাইদে অবস্থান ধরে রেখেছে।
দারফুরে এল-ফাশার ও নিকটবর্তী শিবিরগুলোতে ২ লাখ ৬০ হাজার বেসামরিক ব্যক্তি অবরুদ্ধ আছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার শিশু। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, দেশটির প্রায় অর্ধেক মানুষ তীব্র খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি। যার মধ্যে ৬ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ ক্ষুধার্ত। দেশটিতে কলেরা, ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাবও বেড়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কারণ এই সংস্থাগুলি সশস্ত্র বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীকে অর্থায়নে অভিযোগ রয়েছে। মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং পরে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চুক্তি কার্যকর হয়নি।
Comments