মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি বক পাখির নিরাপত্তায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা

বর্তমানে মানুষের তৈরি পরিবেশে বকের খাবার ও আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার পথে। তাদের জীবন যেখানে সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। সেখানে এই চিত্র যেন বলছে অণ্য কথা। ৩টি বক ছানার নিরাপদ আশ্রয় মিলেছে পুলিশ সদস্যদের কাছে। মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি বক পাখির নিরাপত্তায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা। বক পাখি গুলো দেখতে প্রতিদিন পুলিশ ফাঁড়িতে ভির করছেন অনেকে।
মানুষের যত্ন ও ভালোবাসার প্রতি বকের এক ধরনের আকর্ষণ তৈরি হতে দেখা যায়, যা দীর্ঘদিনের বন্ধনে পরিণত হয়। তেমনি ঘটেছে বরিশালের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে। ৩ টি বকছানা অপরিনত বয়সে আবাস স্থল থেকে নিচে পড়ে ঘর ছাড়া হয়। এখন তাদের বসবাস মানুষের মাঝে। বলছিলাম বরিশাল নগরীর নতুন বাজার পুলিশ ফাড়ির কথা।
মানুষের জানমাল রক্ষার পাশাপাশি ৩টি বক ছানার গৃহ ও আবাস স্থান নিশ্চত করেছেন তারা। তাদের এই ভালোবাসায় বক ছানাগুলো এখন প্রাপ্ত বয়স্ক এবং উড়তেও পারে। কনস্টেবল মাহতাব হোসেন তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন একসাথে মানুষের সাথে মিশে থাকায় উড়ে না গিয়ে জন কোলাহলেই তাদের বসবাস। এ যেন এক মধুর সম্পর্ক। খাবারের সময় হলে নিজেরাই ছুটে আসে আবার সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধে নামলে ফিরে আসেন তাদের জন্য বানানো গৃহে। সাধারন মানুষ এই বন্ধন দেখে অনেকটাই অবাক। বক ও মানুষের মাঝে এমন বন্ধন আগে অনেকেই দেখেছে কিন্তু ৩টি বক একসাথে মানুষের সাথে ঘোরাফেরার পাশাপাশি মিলে মিশে থাকছে এটা দেখে অনেকই পাখির প্রতি ভালোবাসা এক অনন্য উদাহরণ বলছেন।
ফাঁড়ি ইন-চার্জ রেজাউল করিম প্রতিদিন বাজার থেকে বকেদের জন্য মাছ কিনে আনেন। নিজের হাতে খাইয়ে দেন। তিনি ছাড়াও সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করেন কনস্টেবল মাহতাব হোসেন তালুকদার ও ফাঁড়ির অন্য সদস্যরা।
বক ছোট মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী শিকার করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে বকের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ৩টি বকছানার এমন আচড়ন দেখে পাখিদের প্রতি মানুষের কেমন ভালোবাসা প্রকাশ করা উচিত তারই জানান দিচ্ছে।
বক তাদের সাদা পালকের জন্য পরিচিত এবং প্রকৃতির অংশ হিসেবে মানুষের মনে সৌন্দর্যের অনুভূতি তৈরি করে। বক পাখি জলজ বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Comments