ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদার (৩৮)। দশদিন পর তার স্ত্রী আসমা খাতুন তৃতীয় সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য দিন রয়েছে। কিন্তু এর আগেই গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিকের গুদামের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল পূর্বপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল হুদা খুব সহজ-সরল ভালো মানুষ ছিলেন। তিন বছর আগে বড় ভাই শামসুল হুদা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। । তার চাকরির আয়ে পরিবারের খরচ চলতো। যে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন লেগেছে সেই কারখানা বিরুদ্ধে সরকার আইনিব্যবস্থা নিক। ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ নুরুল হুদার স্ত্রীকে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি দিলে এই অসহায় সংসারটা বেঁচে যাবে
ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা ,বাব মা দুই বোন,অন্তঃসত্তা স্ত্রীসহ এক মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন
মধ্যরাতে ঢাকা থেকে ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ির সামনে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, নুরুল হুদা ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ারফাইটার হিসেবে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন। গেলো সোমবার বিকালে টঙ্গীর সাহারা মার্কেটের সেমিপাকা টিনশেড কেমিক্যাল কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুধবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়াও জানাজায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
Comments