যেসব বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের আগেই জমা দেবে বলে আশাবাদী কমিশন। নতুন বেতন কাঠামো তৈরিতে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
বৈঠকে জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছি। বেতন কাঠামো নির্ধারণে ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও এর আগেই আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।
গতকাল রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে এসব কথা বলেন জাকির আহমেদ খান।
তিনি জানান, একটি সময়োপযোগী বেতন কাঠামো নির্ধারণের পাশাপাশি কমিশন বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা বেতন কাঠামো গঠন; আয়কর পরিশোধ বিবেচনায় বেতন কাঠামো; বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াতসহ অন্য ভাতা নিরূপণ; মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের মান মূল্যায়নে কাজ করছে।
মূল্যায়ন অনুযায়ী, একটি বেতন কাঠামো প্রণয়ন, টেলিফোন, গাড়ি ও মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক সুবিধা নগদ ও রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ, বেতনের গ্রেড ও ইনক্রিমেন্টে অসংগতি থাকলে তা দূরীকরণে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি যৌক্তিক বেতন কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে কর্মকর্তাদের জন্য স্বাস্থ্যবীমার বিষয়ে জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, 'এটা গুরুত্বপূর্ণ। বেতন বাড়ালেও দেখা যায় এক অসুখেই অনেকে সম্বল হারিয়ে ফেলেন। ইনস্যুরেন্স থাকলে পরিবার নিশ্চিন্তে থাকে। এ ধরনের কিছু মডেল প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আছে।'
এক দশক পর সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।
Comments