হিলিতে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় বাজারে অস্থিরতা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়। এতে বাজারে দাম কিছুটা স্বস্তিতে এলেও দু'দিন পরই—১৯ আগস্ট থেকে হঠাৎ নতুন করে কোনো আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে কমে গেছে সরবরাহ, আর তার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) হিলি স্থলবন্দর ও আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অল্প কিছু ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করছে। তবে তা বাজারের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে দ্রুত বাড়ছে দাম। বর্তমানে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আগে যেখানে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ৫৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। নাসিক জাতের দামও ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকায়। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
বন্দর এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল জানান, আমদানি শুরু হলে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছিল। কিন্তু নতুন আইপি বন্ধ হওয়ার পর ফের দাম বেড়ে গেছে। এতে ক্রেতারা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন, তেমনি আমরাও সমস্যায় আছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সরকার হঠাৎ নতুন আইপি বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সীমিত কয়েকটি ট্রাক আসছে ঠিকই, কিন্তু তা দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। এজন্যই দাম বাড়ছে।
অন্যদিকে, হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ভারত থেকে ৭০টি ট্রাকে প্রায় ২ হাজার ৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে
Comments