‘বিশাল হুমকির’ কারণে পারমাণবিক ঢাল আপডেট করবে রাশিয়া

'বিশাল হুমকির' কারণে আগামী বছরগুলোতে রাশিয়ার পারমাণবিক ঢাল আরও শক্তিশালী করা উচিত বলে মনে করেন রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কর্পোরেশনের প্রধান আলেক্সি লিখাচেভ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) তিনি সংবাদ সংস্থা আরআইএকে বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, আমাদের দেশের অস্তিত্বের জন্য এখন বিশাল হুমকির সময়। অতএব, পারমাণবিক ঢাল, যা একটি তরবারিও - আমাদের সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি।'
লিখাচেভ বলেন, 'আমরা আজ বুঝতে পারছি, পারমাণবিক ঢাল কেবল আগামী বছরগুলোতে উন্নত করা উচিত।'
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ঢালের চেয়ে শক্তিশালী তথাকথিত 'গোল্ডেন ডোম' ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এর ব্যয় হবে কমপক্ষে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার। এর লক্ষ্য হবে ব্যালিস্টিক, হাইপারসনিক এবং ক্রুজসহ বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করা। এর লক্ষ্য রাশিয়া ও চীনের হুমকিকে প্রতিহত করা।
তবে, সামরিক বিশেষজ্ঞরা একমত যে এই ধরণের কোনও ঢালই সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে পারবে না, বিশেষ করে মস্কো বা ওয়াশিংটন যে পরিমাণে উৎক্ষেপণ করতে পারে।
ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের গবেষণা অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৪৩০০টি মজুদ এবং মোতায়েন করা পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আছে প্রায় ৩৭০০টি ওয়ারহেড। বৈশ্বিক মজুদের প্রায় ৮৭ শতাংশই এই দুই দেশের।
গবেষণা অনুসারে, চীন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। তাদের প্রায় ৬০০টি ওয়ারহেড রয়েছে। এছাড়া ফ্রান্সের ২৯০টি, ব্রিটেনের ২২৫টি, ভারতের ১৮০টি, পাকিস্তানের ১৭০টি, ইসরায়েলের ৯০টি এবং উত্তর কোরিয়ার ৫০টি।
Comments