গোপালগঞ্জে নানা কর্মসূচী মধ্য দিয়ে মৎস্য সপ্তাহ শুরু

দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ত্বরান্তিত করার প্রত্যয়ে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে এ কর্মসূচী পালন করে।
"অভায়শ্রম গড়ে তুলি, দেশী মাছে দেশ ভরি"-এই প্রতিপাদ্যে আজ সোমবার (১৮ আগষ্ট) সকালে সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করে এ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। পরে সেখান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জেলার শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৎস্য অধিদপ্তরে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর গোপালগঞ্জ মৎস্য ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকল্প পরিচালক আসলাম হোসেন শেখ সিনিয়র সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তী, খামার ব্যবস্থাপক তানজিলা আক্তার নিপা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে সফল ৩জন মৎস্য চাষীতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে সরকারী কর্মকর্তা, মৎস্য চাষী ও মৎস্য সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী বলেন, নিরাপদ মাছ তৈরী করতে হবে। মুরগীর বিষ্টা বা কোন অপদ্রব্য খাইয়ে মাছ বড় করা যাবে না। দেশীয় প্রজাতির মাছ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অবৈধ জাল বা অবৈধ কোন পস্থা ব্যবহার করে মাছ ধরা যাবে না। আগামী ২৪ আগষ্ট পর্যন্ত এ মৎস্য সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশীয় মাছ রক্ষার্থে কারেন্ট জাল ও ইলেক্ট্রিক শক বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, মাছ চাষের পাশাপশি আমরা মুক্তা চাষ বর্ধিত করতে পারি। কারেন্ট জাল ও ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধ্বংস করা হচ্ছে। এর সাথে যে মৎস্য চাষীরা জড়িত নেই তা বলা যায় না। যারা এর সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে এবং আগামীতে তা অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে, টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের নিজস্ব পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার। সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেবাশীষ বাছাড়।
Comments