নিজ সন্তানদের হাতে শারিরিক নির্যাতনের শিকার অভিযোগ এক বৃদ্ধা মায়ের

জামালপুরে নিজ সন্তানদের হাতে শারিরিক নির্যাতনে শিকার হবার অভিযোগ করেছেন এক বৃদ্ধা মা। জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
শহরের বজরাপুর এলাকার মৃত আব্দুস সালাম সরকারের স্ত্রী ৬৫ বছরের মনোয়ারা বেগমের অভিযোগ, ২০১৪ সালে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে মারা গেছেন তার স্বামী আব্দুস সালাম সরকার। এরমধ্যে বড় ছেলে মনির হোসেন মনির ব্যবসায়ী, একমাত্র মেয়ে এডভোকেট মাহমুদা আক্তার স্বপ্না (বর্তমানে জেলা জজ আদালতের এপিপি), মেঝো ছেলে আবু সাঈদ রনি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ছোট ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সনি একজন প্রকৌশলী।
বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম জানান, তার বাবার বাড়ির অংশ বিক্রি করে শহরের বজরাপুর এলাকায় নিজ নামে ২০ শতক জমি কিনেন। এক ছেলে সনি ৮ শতাংশ, মনির ৪ শতাংশ এবং স্বপ্না ৪ শতাংশ ইতোমধ্যে জোরপূর্বক লিখে নিয়েছেন। সম্প্রতি ভূমি অধিগ্রহনের ৪ লাখ টাকাও নিয়েছেন দুই পুত্র ও কন্যা। অসুস্থ ছেলে রনি সবকিছু থেকে বরাবরই বঞ্চিত হয়েছে। অবশিষ্ট ৪ শতাংশ জমিতে মনোয়ারা বেগমের নামে থাকা মার্কেট লিখে নিতে না পেরে দুই পুত্র, মেয়ে, পুত্রবধূ ও মেয়ের জামাই তাকে শারিরিকভাবে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এই বৃদ্ধাকে মাঝে মধ্যে হাত-পা বেঁধে ভেজা বিছানায় ফেলে রাখা হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখিয়ে তিনি বলেন, বিচার চেয়ে তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তার সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেননি। নির্যাতিত বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম বর্তমানে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সহযেগিতা চান বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম।
তবে বৃদ্ধ 'মা' মনোয়ারা বেগমের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার পুত্র মনির হোসেন মনির ও মেয়ে এপিপি মাহমুদা আক্তার স্বপ্না বলেন, তাদের বাবার মৃত্যুর পর থেকে তাদের 'মা' মানসিকভাবে অসুস্থ। তাদের 'মা' যেখানে যেভাবে থাকতে চান সেইভাবেই রাখতে রাজি তার পুত্র ও মেয়ে।
Comments