শেবাগের পর ইরফানেরও দল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ধোনির বিরুদ্ধে

সর্বকালের সেরা ভারতের অধিনায়কদের একজন বিবেচনা করা হয় 'ক্যাপ্টেন-কুল'খ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একের পর এক সাবেক সতীর্থ দল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। সম্প্রতি এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে প্রথম এমন অভিযোগ তোলেন বীরেন্দর শেবাগ। এর মাত্র একদিন পরই একই দাবিতে হাজির দেশটির আরেক তারকা অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান।
এক সাক্ষাৎকারে ইরফান বলেন, 'আমার ভাই (ইউসুফ পাঠান) আর আমি শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ জিতিয়েছিলাম। যেভাবে আমরা জিতেছিলাম যদি আমাদের জায়গায় অন্য কেউ থাকত, তাদের এক বছরের জন্য বাদ দেওয়া হত না। ওই ম্যাচে শেষ ২৭-২৮ বলে ৬০ রান দরকার ছিল, সেখান থেকে আমরা জিতেছিলাম। নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচেই আমি বেঞ্চে ছিলাম। চতুর্থ ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। শেষ ম্যাচেও আমি ছিলাম না। এরপর কোচ গ্যারিকে (কার্স্টেন) জিজ্ঞেস করলাম, কেন আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি উন্নতির কিছু থাকে, তিনি বলতে পারেন, কিন্তু কারণটা জানতে চেয়েছিলাম।'
'গ্যারি আমাকে দুটি কারণ বললেন। প্রথমত, "কিছু বিষয় আছে যা আমার হাতে নেই।" আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, কার হাত আছে? তিনি বলেননি। তবে আমি জানতাম কার হাতে, প্লেয়িং ইলেভেন নির্ধারণ মূলত অধিনায়কের পছন্দেই হয়। সিদ্ধান্ত আসে অধিনায়ক, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে। তখন ধোনি অধিনায়ক ছিলেন। আমি বলব না সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি না, কারণ প্রতিটি অধিনায়কের নিজস্বভাবে দল পরিচালনার অধিকার আছে', আরও যোগ করেন ইরফান পাঠান।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইরফান পাঠান তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৭৩টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ২৮২১ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ৩০১ উইকেট। কিন্তু তার সময়ে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব বর্তমান সময়ের মতো ছিল না বলে আক্ষেপ করেন ইরফান, 'দ্বিতীয় কারণ ছিল তারা সাত নম্বরে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার চেয়েছিল। এটা ঠিক যে আমার ভাই ব্যাটিং অলরাউন্ডার, আর আমি বোলিং অলরাউন্ডার। দু'জনের ধরন আলাদা, কিন্তু দলে জায়গা ছিল একজনের জন্য। এখনকার দিনে যদি জিজ্ঞেস করেন, দুই অলরাউন্ডার লাগবে কি না। তাহলে সবাই হ্যাঁ বলবে।'
এর আগে বীরেন্দর শেবাগ সাবেক ক্রিকেটার পদ্মজিৎ শেরহাওয়ান্তের পডকাস্ট অনুষ্ঠানে বলেন, '২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমি প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলি, এরপর ধোনি আমাকে একাদশ থেকে বাদ দেয়। পরে বেশ কিছু ম্যাচে আমি একাদশে ছিলাম না। তখন মনে হলো, যদি একাদশে সুযোগই না পাই, তাহলে ওয়ানডে খেলার কোনো মানে নেই। আমি গিয়ে শচীনকে বলি, "ওয়ানডে থেকে অবসরের কথা ভাবছি।" শচীন তখন বললেন, "আমিও ১৯৯৯-২০০০ সালে একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল ক্রিকেট ছেড়ে দেব, কিন্তু সেই সময় কেটে গেছে। তুমিও এখন খারাপ সময় পার করছ; কিন্তু এটা কেটে যাবে। আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়ো না। নিজেকে কিছু সময় দাও।"'
Comments