'সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মূলধারার গণমাধ্যমেও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে'

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা বলেছিলাম যে মাফিয়া দুর্নীতি সিস্টেম সেই সিস্টেমের বদল ঘটাতে হবে। কিন্তু সে সিস্টেমকে পাহাড়া দেয়ার জন্য নতুন দলের আভির্বাভ ঘটেছে। সেই সিস্টেম সেই দুর্নীতি সেই চাঁদাবাজকে আগে আরেকটা দল পাহাড়া দিতো এখন নতুন দল পাহাড়া দিচ্ছে।
আমরা স্পষ্ট বলেছিলাম শুধু হাসিনার পতন নয় সেই সিস্টেম সেই দুর্নীতির পতন ঘটাতে হবে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলব এবং নতুন রাজৈনিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের এখন আমরা নেমেছি। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র নেতৃত্ব তরুন নেতৃত্ব সেই সিস্টেমের পত ঘটাতে চেয়েছিলো সেই সিস্টেম কখনও চায়না এক অভ্যত্থানের নেতৃত্ব কোন ভাবে দাড়াক, রাজনৈতিক ভাবে টিকে থাকুক। সেই অভ্যুত্থান পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা সরকার আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে গণঅভ্যুত্থানের পর সেই দুর্নীতি মাফিয়াদের সিস্টেম সেই সেনাবাহিনী আমলাতদন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। ডিজিএফআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্টাবলিষ্টমেন্টগুলো অভ্যুত্থানের শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে এবং বিভাজন তৈরী করেছে। ষড়যন্ত্রের জবাব দেবো জনসমর্থনে।
সোমবার দুপুর পৌনে দুইটায় পটুয়াখালী পৌর শহরের শহীদ হৃদয় তুরুয়া চত্ত্বরে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার শেষে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মূলধারার গণমাধ্যমেও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের নেতাদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা এর জবাব দেবো জনসমর্থনের শক্তিতে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মুজিববাদী ৭২'র সংবিধানকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে । অথচ এখন তারাই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে মুজিববাদের নতুন পাহাড়াদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে রূপ নিয়েছে, সন্ত্রাসের দলে পরিণত হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে গণ-জাগরণকে থামানো যাবে না।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সার্জিস আলম, তাসনিম জারা, শামান্তা শারমিন, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও মুজাহিদ শাহীনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গন থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে শেষ হয়। পদযাত্রায় হাজারো ছাত্র জনতা অংশগ্রহন করে।
Comments